যোগীর রাজ্যে বিজেপির ভোটের ভাঁড়ারে টান, ব্রাহ্মণরা চাইছেন অখিলেশদের
যোগীর রাজ্যে বিজেপির ভোটের ভাঁড়ারে টান, ব্রাহ্মণরা চাইছেন অখিলেশদের
বিজেপিতে আস্থা নেই। উচ্চ শ্রেণির ভোট হারাচ্ছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশের ব্রাহ্মণরা আর বিজেপির উপর ভরসা রাখতে পারছেন না। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তারা চাইছেন বিজেপি নয় সমাজবাদী পার্টি আসুক ক্ষমতায়। অর্থাৎ যোগীর থেকে অখিলেশের উপরেই আস্থা রাখছেন তাঁরা। অথচ গত নির্বাচনে এই ব্রাহ্মণরাই ছিলেন বিজেপি বড় ভোট ব্যাঙ্ক।
নির্বাচনের বাকি সাত মাস
আর হাতে বেশি নয় নেই যোগী সরকারের। মাত্র সাত মাস হাতে আছে। তারপরেই কঠিন পরীক্ষায় বসতে হবে যোগী আদিত্যনাথকে। আর যোগীর থেকেও বড় পরীক্ষা দিতে হবে বিজেপিকে। সেকারণে বাংলার ভোট মিটতেই উত্তর প্রদেশে মন দিয়েছেন মোদী। আর এসএসের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক সেরেছেন। অযোধ্যার উন্নয়ননিয়ে যোগীর কাছে রিপোর্ট নিয়েছেন। মোদী সরকারের কাছেও এটা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ ভোট।
জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন যোগী
কর্নাটকের ইয়েদুরাপ্পার মতোই যোগীকেও মুখ্যমন্ত্রী আর করা হবে না এই গুঞ্জন শুরু হয়ে হিয়েছে। ইয়েদুরাপ্পাকে সরানো হলেও যোগীকে এখনও পদেই রেখেছে বিজেপি। উল্টে যোগীর কাজের প্রশংসা করেছেন। তবে যোগীর সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে উত্তর প্রদেশে। একাধিক জায়গায় যোগীকে নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে করোনা মোকাবিলায় যোগী প্রশাসন যে একেবারেই ব্যর্থ তা নিয়েসরব হয়েছে বিরোধীরা। যে জনপ্রিয়তা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেটা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
বিজেপিকে চাইছেন না ব্রাহ্মণরা
উত্তর প্রদেশের একটা বড় অংশের ভোট রয়েছে ব্রাহ্মণ সমাজের। গত নির্বাচনে বিজেপি সমাজের এই উচ্চবর্নের এই পুরো ভোটটাই পেয়েছিল। কিন্তু ২০২২-র ভোটে এই ব্রাহ্মণ সমাজের ভোটটাই হারাতে চলেছে বিজেপি। কারণ বিজেপির শাসনে অত্যন্ত রুষ্ট উত্তর প্রদেশের ব্রাহ্মণরা। গত চার বছরের বিজেপি শাসনে উত্তর প্রদেশে একাধিক ব্রাহ্মণ খুন হয়েছেন। তারমধ্যে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেও রয়েছেন।
অখিলেশকে চাইছেন ব্রাহ্মণরা
অখিলেশকে চাইছেন ব্রাহ্মণরা। সেই সুযোগ নিতে হাতছাড়া করছে না সমাজবাদী পার্টিও। ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণ সম্মেলন করে ফেলেছে মায়াবতীর দল। অখিলেশের দল ইতিমধ্যেই সমাজের বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সম্মেলন করার পরিকল্পনা করছে। কংগ্রেসও পিছনে নেই। ক্ষমতায় এলে ব্রাহ্মণ বিধায়কদের মন্ত্রী করা হবে বলে কথা বলতে শুরু করেছে। ২০১৭ সাল থেকে যোগী ক্ষমতায় আসার পরেই কোণঠাসা হতে শুরু করেছিল ব্রাহ্মণরা। অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ দাবি করেছে গত চার বছরের প্রায় ৫০০ ব্রাহ্মণ খুন হয়েছেন উত্তর প্রদেশে।