আঁধারেই দিওয়ালি কাটল রাম রহিম, হানিপ্রীতের, আপত্তি মিষ্টিমুখেও
দিওয়ালিতে মিষ্টি নিতে অস্বীকার করেছে ধর্ষক রাম রহিম সিং। রোহতকের সুনারিয়া জেলে এবার একটিও প্রদীপ সে জ্বালায়নি। হানিপ্রীতও এবছর দিওয়ালির মিষ্টি খাননি বলে আম্বালা সেন্ট্রাল জেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
দিওয়ালিতে মিষ্টি নিতে অস্বীকার করেছে ধর্ষক রাম রহিম সিং। রোহতকের সুনারিয়া জেলে এবার একটিও প্রদীপ সে জ্বালায়নি। এমনকী পরিবার ও জেল আধিকারিকদের দেওয়া মিষ্টিও সে নেয়নি বলে জেল সূত্রে জানা গিয়েছে। অপরদিকে রাম রহিমের পালিত কন্যা হানিপ্রীতও এবছর দিওয়ালির মিষ্টি খাননি বলে আম্বালা সেন্ট্রাল জেল সূত্রে জানা গিয়েছে। পরিবারের অনুরোধে তিনি মিষ্টির বাক্স হাতে নিলেও সেই মিষ্টি মুখে তোলেননি বলেই জানা গিয়েছে।
রোহতকের সুনারিয়া জেল কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরই কয়েদি ও বিচারাধীন বন্দিদের হাতে মিষ্টির বাক্স তুলে দেয়। জেল চত্বরেই বন্দিরা প্রদীপ জ্বালিয়ে দিওয়ালি পালন করে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু রাম রহিম নিজের সেল থেকেই বেরোয়নি বলে জানা গিয়েছে। দিওয়ালির দিন চারেক আগেই তার পরিবার জেলে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে। তাদের কাছেও রাম রহিম কান্নাকাটি করেছে বলে জানা গিয়েছে।
অপরদিকে হরিয়ানায় দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে গ্রেফতার হানিপ্রীতকে ২৩শে অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আম্বালা সেন্ট্রাল জেলে বন্দি হানিপ্রীতও দিওয়ালির দিন নিজেকের জেল কুঠুরির অন্ধকারেই রেখেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য়, এতদিন পর্যন্ত ডেরা সাচা সৌদা হেডকোয়ার্টারে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতই দিওয়ালি উদযাপন করত রাম রহিম। দিওয়ালি উপলক্ষ্যে বিশেষ পোষাক পরে বিশেষ ধরনের গাড়িতে নিজের গুহা থেকে বেরত রাম রহিম। ডেরায় লক্ষ লক্ষ ভক্তদের নিয়েই দিওয়ালি পালন করতে সে। গত বছরই ডেরায় ১.৫ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছিল ধর্ষক বাবা। এবছর অবশ্য় দিওয়ালির আগের দিনই অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে যোদী আদিত্যনাথ সরকার।
[আরও পড়ুন: যৌন উন্মাদগ্রস্ত রাম রহিমের আর এক কেচ্ছা, করওবাচৌতে কেন 'চাঁদ' সাজত ধর্ষক বাবা]