প্রাক্তন স্বামীকে দিতে হবে ভরণপোষণ-খরচ! স্ত্রীকে দেওয়া নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্ট
স্ত্রী (wife) ঘর ছেড়ে চলে গেলে স্বামী (hysband) তাঁকে ভরণপোষণের খরচ দিতে বাধ্য থাকেন। কিন্তু এবার স্ত্রীকে প্রাক্তন স্বামীর ভরণপোষণের খরচ (maintenance) দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু সময়ের বকেয়া খরচ
স্ত্রী (wife) ঘর ছেড়ে চলে গেলে স্বামী (hysband) তাঁকে ভরণপোষণের খরচ দিতে বাধ্য থাকেন। কিন্তু এবার স্ত্রীকে প্রাক্তন স্বামীর ভরণপোষণের খরচ (maintenance) দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু সময়ের বকেয়া খরচের জন্য বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) তরফে শিক্ষিকা স্ত্রীর স্কুলকে আদেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বাড়তি টাকা কেটে প্রাক্তন স্বামীকে দেওয়া হয়।
স্বামীকে ভরণপোষণ নিয়ে আদালতের নির্দেশ
বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের তরফে নান্দেদ নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে। বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে অন্তবর্তর্তী কালীন ভরণপোষণের খরচ হিসেবে মাসে মাসে ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে। আর ২০১৭-র অগাস্ট থেকে বকেয়া থাকা ভরণপোষণের খরচ আদায় করতে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মাসে মাসে ৫ হাজার করে টাকা কেটে নিয়ে আদালতে জমা দিতে হবে।
হিন্দু বিবাহ আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উল্লেখ
বিচারপতি ভারতী ডাংরে এব্যাপারে ১৯৫৫ সালের বিন্দু বিবাহ আইনের ২৫ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কথাও উল্লেখ করেছএন তিনি। এব্যাপারে দেওয়ার নিম্ন আদালতের আদেশ খারিজের জন্য শিক্ষিকার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। ২৫ নম্বর ধারা বলা হয়েছে, আদালত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মোটা অর্থ কিংবা মাসিক কিংবা পর্যায়ক্রমে আবেদনকারীকে দিতে আদেশ দিতে পারে।
দুইপক্ষের আবেদন শুনে বিচারপতি ডাংরে বলেছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের ডিক্রি প্রযোজ্য না করে আইনের ২৫ নম্বর ধারার সুযোগকে সীমাবদ্ধ করা যাবে না।
নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে
নান্দেদ সিনিয়র ডিভিশনের দ্বিতীয় যুগ্ম বিচারকের ২০১৭-র অগাস্টের এবং ২০১৯-এর ডিসেম্বরের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ওই মহিলা শিক্ষিকা। যেখানে অন্তবর্তী আদেশে বলা হয়েছিল স্বামীকে ভরণপোষণের খরচ বাবদ মাসে ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে। ২০১৯-এর ডিসেম্বরে নিম্ন আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, ২০১৭-র অগাস্টের আদালতের নির্দেশ পালনের জন্য শিক্ষিকার মাসের বেতন থেকে মাসে মাসে ৫ হাজার টাকা করে কেটে নিয়ে আদালতে জমা দিতে হবে।
১৯৯২ সালে বিয়ে আর ২০১৫ সালে বিচ্ছেদ
ওই
মহিলা
দাবি
করেছিলন
১৯৯২
সালে
তাঁদের
বিয়ের
হয়েছিল।
তবে
তিনি
স্বামীর
থেকে
আলাদা
থাকতেন
এবং
২০১৫
সালে
তিনি
বিবাহ
বিচ্ছেদের
ডিক্রি
পেয়েছিলেন।
আর
ভরণপোষণের
আদেশ
দেওয়া
হয়েছে
তার
অনেক
পরে।
ফলে
সেটি
গ্রহণযোগ্য
হতে
পারে
না।
বম্বে
হাইকোর্টের
তরফে
বলা
হয়েছে
হিন্দু
বিবাহ
আইনের
২৫
নম্বর
ধারা
স্ত্রী
কিংবা
স্বামী
উভয়ের
জন্যই
একটি
বিধান।
হাইকোর্টের
তরফে
বলা
হয়েছে
আইনের
২৫
নম্বর
ধারা
অনুযায়ী,
স্বামী
ভরণপোষণের
জন্য
যে
আবেদন
করেছেন
তা
যথাযোগ্য।
বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জন্য হাত জোড় করে অনুরোধে তৃণমূল বিধায়ক! প্রশ্ন তুলে সরব শুভেন্দু অধিকারী