বেআইনিভাবে রেমডেসিভির বিতরণের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে, তদন্তের নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের
বেআইনিভাবে রেমডেসিভির বিতরণের অভিযোগ
বেআইনি ও গোপনভাবে করোনা ভাইরাসের জীবনদায়ী ওষুধ রেমডেসিভির সংগ্রহ ও বিতরণ করার অভিযোগ উঠল খোদ বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপির আহমেদনগরের সংসদীয় সদস্য সুজয় ভিখে পাটিল ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলি থেকে দশ হাজার শিশি রেমডেসিভির সংগ্রহ করে এবং তা বিতরণ করার অভিযোগের শুনানি চলাকালীন বম্বে হাইকোর্ট মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র বিভাগের মুখ্য সচিবকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার ও এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন।
বিচারপতি
আর
ভি
ঘুগে
এবং
বি
ইউ
দেবাদওয়ারের
বেঞ্চ
১০
থেকে
২৫
এপ্রিলের
মধ্যে
অভতরণ
হওয়া
চাটার্ড
বিমানের
বিশদ
তথ্য
জানতে
ও
চালানের
ভিডিও
রেকর্ডিং
পরীক্ষা
করার
জন্য
মুখ্য
সচিবকে
অনুরোধ
করেন।
আদালত
জানিয়েছে,
'যেহেতু
সাংসদ
নিজেই
দাবি
করেছেন
যে
তিনি
সিরডি
বিমানবন্দরে
শিশিগুলি
নিয়ে
অবতরণ
করেছেন,
তাই
তথ্য
সংরক্ষণ
ও
বিমানের
বিশদ
বিবরণ
না
পাওয়ার
কোনও
অজুহাত
আমরা
গ্রহণ
করব
না।’
প্রসঙ্গত,
একটি
ভিডিওতে
ওই
বিজেপি
সাংসদ
নিজেই
জানিয়েছেন
যে
তিনি
দিল্লি
থেকে
শিশিগুলি
নিয়ে
এসেছেন।
শুনানির সময় বেঞ্চ এও জানিয়েছে যে যদি কোনও ব্যক্তি মানুষের প্রতিনিধি হয়ে বা সমাজ কর্মী বা অন্য কোনওভাবে জীবন বাঁচানোর কাজ করেন তবে তা প্রশংসার যোগ্য। 'তবে আবেদনের প্রধান প্রশ্ন হল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দ্বারা ব্যবহৃত পদ্ধতিটি আইনিভাবে বৈধ ছিল কিনা।’ হাইকোর্ট জানায়। হাইকোর্ট এও বলে, 'আমরা নিশ্চিত জীবন বাঁচবে এবং গরীব ও অভাবীরা সুবিধা পাবেন। কিন্তু যদি ভুল পথ অনুসরণ করা হয়, তবে সেটা দেখতে হবে।’
কোভিড উপসর্গ চেনার উপায় থেকে সুশ্রুষা ঘিরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আদালত এও লক্ষ্য করেছে যে বুধবার আহমেদনগরের জেলা শাসক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয় সম্পর্কে দাবি করেছেন যে ১৭০০ থেকে ১০ হাজার শিশি রেমডেসিভির পুনেতে বৈধভাবে পাঠিয়েছে সরকার। এ প্রসঙ্গে বেঞ্চ বলেছে, 'প্রাথমিকভাবে এটা দেখার পর মনে হচ্ছে যে জেলা সাসক সাংবাদিক সম্মেলন করে সংশ্লিষ্ট সাংসদকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।’ আদালত প্রশ্ন তুলে বলেন, 'কেন জেলা শাসক সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন এবং ওই ব্যক্তিকে সুরক্ষা দিলেন? এটা যদি হয়ে থাকে তবে জেলা শাসককে এক্ষুণি অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হোক। এ বিষয়ে তদন্ত প্রয়োজন।’ আদালতের পক্ষ থেকে জেলা শাসককে এ বিষয়ে জবাবদিহি করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। ৩ মে ফের এই মামলার শুনানি হবে।