শুভেন্দু-কাকলিদের বিমানে বোমা! কলকাতা আসার পথে চরম আতঙ্কে মন্ত্রী-সাংসদ-যাত্রীরা
দিল্লি থেকে কলকাতাগামী বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়াল বুধবার। এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানেই কলকাতা ফিরছিলেন তৃণমূলের সাংসদ ও মন্ত্রীরা।
দিল্লি থেকে কলকাতাগামী বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়াল বুধবার। এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানেই কলকাতা ফিরছিলেন তৃণমূলের সাংসদ ও মন্ত্রীরা। ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ শিশির অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রাজ্যসভার নবনির্বাচিত সাংসদ নাদিমূল হক। এই বিমানটি দুপুর দুটো নাগাদ কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। এরপরই জানা যায়, বিমানটিতে বোমা রয়েছে। সমস্ত যাত্রীকে নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
বিমানটি দীর্ঘক্ষণ রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকায় সবার মধ্যেই সন্দেহ দানা বাঁধে। কিন্তু কী ঘটনা ঘটেছে তা পরিষ্কার হচ্ছিল না। এরপরই প্রকাশ্যে আসে বিলম্বের কারণ। সাসংদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, তাঁরা বিমান উটে বসেছিলেন নির্দিষ্ট সময়েই। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বিমানটি ছাড়ছিল না।
তিনি জানান, এর খানিক পরেই তাঁদের নেমে যেতে বলা হয় বিমান থেকে। জানানো হয়, এই বিমানে বোমা রয়েছে। তারপর অবশ্য চিরুণি তল্লাশি চালিয়েও হদিশ মেলেনি বোমার। পরে স্থির হয়, ওই বিমান আর ছাড়া হবে না। পরিবর্তে অন্য বিমান পাঠানো হবে। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দর থেকে অন্য বিমানে রওনা দেয় সাংসদ-মন্ত্রী ও অন্যান্য যাত্রীরা।
একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকেই এই বোমাতঙ্ক ছড়ায়। ওই ব্যাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও বোমাতঙ্কের কোনও কারণ মেলেনি। তবু সাবধানতা অবলম্বন করেই ওই বিমান পাঠানোর আর ঝুঁকি নেয়নি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী বিমানে যাত্রীদের পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়। তল্লাশি জারি রয়েছে। কারা এই বোমাতঙ্ক ছড়াল, নিরাপত্তার বজ্র-আঁচুনি ভেদ করে কীভাবেই বা এল ব্যাগটি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।