Singhu Border: ঝোলানো হাত কাটা মৃতদেহ, মাটি ভেসে যাচ্ছে রক্তে, চাঞ্চল্য সিঙ্ঘু সীমান্তে
কৃষক আন্দোলনের মঞ্চে মিলল হাত-রা কাটা দেহ। এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল সিঙ্ঘু সীমান্তের কৃষক আন্দোলনের মঞ্চের একেবারে কাছেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সিঙ্ঘু সীমান্তে। শুক্রবার সকালে উদ্
কৃষক আন্দোলনের মঞ্চে মিলল হাত-রা কাটা দেহ। এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল সিঙ্ঘু সীমান্তের কৃষক আন্দোলনের মঞ্চের একেবারে কাছেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সিঙ্ঘু সীমান্তে। শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয়েছে সেই দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আন্দোলনেরর মঞ্চের কাছে করা ব্যারিকেডের সঙ্গে বাঁধা ছিল সেই ক্ষতবিক্ষত দেহ . হরিয়ানার পানিপথে ওই খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠেছে শিখ সংগঠন নিহঙ্গের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই যুবকের হাতের কব্জি থেকে কাটা, চারপাশে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। রক্তের মধ্যে শুযে আছে ওই যুবক।
তাঁর চোখে মুখে যন্ত্রণার ছাপ স্পষ্ট। তার আশেপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন নিহঙ্গ। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে না। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে নিহঙ্গদের হাতে রয়েছে অস্ত্র। শোনা যাচ্ছে ওই যুবককে তারা নাম ও ঠিকানা বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। কেই ওই যুবককে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে না।
অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, যুবকের দেহ উল্টোদিক করে ঝোলানো রয়েছে। তাঁর বাঁ হাত থেকে ঝরঝর করে রক্ত ঝরছে। মাটি ভেসে যাচ্ছে রক্তে। পুলিশের হাতে যে প্রাথমিক রিপোর্ট ইঠে এসেছে, তাতে জানা যাচ্ছে শিখদের পবিত্র গ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবকে অপমান করার অভিযোগে ওই যুবককে মারধর করে নিহঙ্গরা।
তাঁকে পুলিশ ব্যারিকেডের সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে বাঁ হাত কেটে ফেলা হয়।ঘটনার খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোনিপত থালার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ এখনও তদন্তের বিষয়ে মুখ খোলেনি। তবে এটাই প্রথম নয়, গত বছর তলোয়ার দিয়ে পাঞ্জাব পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর হরজিত সিং-এর হাত কেটে দেওয়ার ঘটনাতেও অভিযোগ উঠেছিল নিহঙ্গদের বিরুদ্ধে।
করোনা পরিস্থিতিতে বিধি ভঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই আক্রমণ করা হয়েছিল পুলিশকে। সাব-ইন্সপেক্টর ছাড়াও আহত হয়েছিলেন আরও তিন পুলিশকর্মী। এ দিন সকালে এই বীভৎস ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ফের আঙুল উঠল নিহঙ্গদের বিরুদ্ধে। গত প্রায় এক বঠর ধরে এই সিঙ্ঘু সীমান্তে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকেরা।
চলতি সপ্তাহেই সোনিপথে যাওয়ার কথা ছিল হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের। কিন্তু কৃষকেরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা বিজেপির কোনও সদস্যকে আসতে দেবেন না। এরপর পরিকল্পনা বাতিল করে দেন খট্টর।