কঙ্গনা রানাওয়াতকে ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি নয় বিএমসি, আবেদন হাইকোর্টে
বলিউড শুধু নয়, গোটা মুম্বইয়ের সঙ্গেই যেন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। কখনও বলিউডের অভিনেতা–পরিচালকদের গালমন্দ করছেন আবার কখনও বা বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন শিবসেনার সঙ্গে। তবে এর পরিণামও পেতে হয়েছে কঙ্গনাকে। তাঁর মুম্বইয়ের পালি হিলসের অফিসের একাংশ ভেঙে দিয়েছে বিএমসি কর্তৃপক্ষ। অভিনেত্রী বিএমসির কাছ থেকে ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার আর্জি হাইকোর্টে জানিয়েছে বৃহনমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিস ভাঙার অভিযোগ ও ২কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের দাবি চেয়ে হাইকোর্টে পেশ করা আবেদনের পাল্টা জবাব দিতে বিএমসিও হলফনামা জমা দিয়েছে। বিএমসি সেই হলফনামায় বলেছে, 'রিট পিটিশন ও ক্ষতিপূরণ চাওয়া তা প্রক্রিয়াটির অপব্যবহার করা। এই আবেদনকে একেবারেই গ্রাহ্য করা উচিত নয় এবং অর্থ সহ তা খারিজ করে দেওআ উচিত।’ প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর কঙ্গনা রানাওয়াতের পালি হিলের অফিসের একাংশ ভেঙে দেয় বিএমসি। বিএমসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে অনুমতি ছাড়াই অভিনেত্রী অনুমোদিত নকশার বাইরে গিয়ে তাঁর সম্পত্তি প্রসারিত করেছেন। ওই একই দিনে অভিনেত্রী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এবং বিচারপতি এস জে কাথাওয়ালার বেঞ্চ এই অফিস ভাঙার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর কঙ্গনা হাইকোর্টে আবেদন করে বিএমসির কাছ থেকে ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। যদিও বিএমসির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে কঙ্গনার দাবি করা অভিযোগ ভুয়ো এবং অভিনেত্রীকে কখনই বিকল্প নকশার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিএমসির পক্ষ থেকে বরং বলা হয়েছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিএমসি নিয়মিত পর্যবেক্ষণে এসেছিল, তখনই লক্ষ্য করা হয় যে বেআইনি মেরামত ও বাংলোতে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী অফিস ভাঙার নোটিস জারি করা হয় এবং অফিস ভাঙার কাজ সেই অনুযায়ী শুরু করা হয়। যদিও তার আগে বিএমসি অভিনেত্রীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অফিসের যাবতীয় নথি জমা দিতে বলেছিল। বিএমসি বনাম কঙ্গনা রানাওয়াত মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২২ সেপ্টেম্বর।