লকডাউনেও জেলায় কর্মসংস্থান! কেন্দ্রের গরিব কল্যাণ যোজনার রূপরেখার ঘোষণায় যা বললেন অর্থমন্ত্রী
লকডাউনের পর পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের জেলায় তথা গ্রামে ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২০ জুন গরিব কল্যাণ অভিযান যোজনা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করবেন। বিহারের খাগাড়িয়া জেলা থেকে তা শুরু হবে। তার আগে এদিন প্রকল্পের রূপরেখা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরি
এদিন অর্থমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সরকার ২৫টি পরিকল্পনা চিহ্নিত করেছে। এই প্রকল্পগুলির আওতায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়া হবে। এই কারণে এই ২৫টি প্রকল্প খাত থেকে মোট ৫০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি করা হচ্ছে। এই যোজনা দেশের ৬ রাজ্যের ১১৬টি জেলায় কার্যকর হবে।
১১৬ টি জেলায় চলবে এই প্রকল্প
এই জেলা নির্ধারণ করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার সমীক্ষা করে দেখেছে যে গড়ে ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক দেশের এই ১১৬ টি জেলায় বিভিন্ন শহর থেকে ফিরেছেন। তবে ভবিষ্যতে এই জেলার সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে উল্লেখ করেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের ১১৬টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিহারের ৩২টি জেলা রয়েছে।
১২৫ দিন ধরে চলবে এই প্রকল্প
এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য এই অভিযান ১২৫ দিন ধরে চলবে বলে জানান তিনি। দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের ম্যাপিং করা হয়েছে। সড় নির্মাণ, গ্রামীণ গৃহ নির্মাণ, অঙ্গনওয়াড়ি, প্রধানমন্ত্রী কুসুম প্রকল্প, ফাইবার অপটিক কেবল পাতার কাজ, জলজীবন মিশন, প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা প্রকল্প, পশুপালন প্রকল্প ইত্যাদিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগানো হবে।
রকল্পের মেয়াদ নিয়ে উঠল প্রশ্ন
এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ মাত্র ১২৫ দিন হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলে নির্মলা বলেন, যে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন তাঁদের অবিলম্বে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই অভিযান শুরু করা হচ্ছে। ১২৫ দিন মাস মানে চার মাস। তার পর সরকার দেখবে, কতজন ওই কাজ করতে চায়। কতজন তাদের পুরনো কাজে ফিরে যেতে চায়। তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনায় ব্রাত্য বাংলা! প্রশ্ন শুনে থতমত খেয়ে সচিবকে 'পাস' অর্থমন্ত্রীর