ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাস, মোদী রাজ্যের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য এখন দিনমজুরের কাজে ব্যস্ত
ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাস, মোদী রাজ্যের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য এখন দিনমজুরের কাজে ব্যস্ত
দেশে করোনা (coronavirus) মহারামীর (pandemic) আছড়ে পড়ার পর থেকে লকডাউনের জেরে বহু মানুষ তাঁদের রুটি-রুজি হারিয়েছেন। এই সংখ্যাটা কয়েক কোটি বলেই দাবি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। দেশের কোটি কোটি মানুষ এখনও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরার জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতে রয়েছেন সব পেশার মানুষ। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর (narendra modi) রাজ্য গুজরাতের (gujarat) ক্রিকেটার (cricketer) নরেশ টুমডাও (naresh tumda) ।
বিশ্বকাপার এখন দিনমজুর
করোনা
জীবন
করেড়ে
লক্ষ
লক্ষ
মানুষের।
জীবিকা
কেড়েছে
কোটি
কোটি
মানুষের।
বহু
মানুষ
আজ
অসহয়ায়।
অসহয়ায়
গুজরাতের
নভসারির
নরেশ
টুমডা।
দেশের
হয়ে
বিশ্বকাপ
জয়ের
তিন
বছর
পরে
তিনি
এখন
দিনমজুরের
কাজ
করছেন।
এই
খবর
সামনে
আসছে
যে
সময়,
সেই
সময়েই
দেশে
ফিরেছেন
অলিম্পিকে
পদকজয়ীরা।
তাঁদের
নিয়ে
ব্যস্ত
দেশের
মিডিয়া,
ব্যস্ত
সরকার।
কিন্তু
এযেন
প্রদীপের
নিচেই
অন্ধকার।
চাকরি পাননি
নরেশ জানিয়েছেন, সরকারি চাকরির জন্য তিনি বহু জায়গায় আবেদন করেছিলে। কিন্তু কোথাও থেকে সাড়া মেলেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি ফের একবার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সরকারি চাকরির জন্য। বলেছেন, এখন তাঁর দিনে আয় ২৫০ টাকা। সরকারের কাছে আবেদন করে তিনি বলেছেন, একটা চাকরি দিন, যাতে তাঁর নিশ্চিত কিছু উপার্জন হয়। এবার সরকার তার প্রতি সহানুভূতি দেখাবে বলেই মনে করেন টুমডা। তবে ক্রিকেটার হিসেবে পাওয়া যাবতীয় পুরষ্কার, সার্টিফিকেট তিনি রেখেছেন যত্ন করে, নিজেদের ছোট্ট ঘরে।
পরিবারের একমাত্র রোজগেরে
২৯ বছরের নরেশ টুমডা গতবছর লকডাউনের সময়েও সবজি বিক্রি করেছেন। কিন্তু পরিবারের যা খারচ তাতে কিনি কুলিয়ে উঠতে পারেননি। সেই কারণে দিনমজুরের কাজকেই বেছে নিয়েছেন। ঘাড়ে করে ইট বয়ে নিয়েই তিনি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন, বাবা-মা বৃদ্ধ। বাবা কোনও কাজও করতে পারেন না। পরিবারের একমাত্র আয় করেন তিনিই।
২০১৮-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য
২০১৮ সালের ব্লাইন্ড বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর বসেছিল মরু শহর শারজায়। ফাইনালে ভারত পাকিস্তানকে হারায়। ভারত ৩৯ ওভারে ৮ উইকেটে পাকিস্তানের দেওয়ার টার্গেট ৩০৮ ছুঁয়ে ফেলে। সেই দলেরই সদস্য ছিলেন নরেশ টুমডা। দেশে ফেরার পরে সম্বর্ধনাও জুটেছিল বেশ। কিন্তু পরে তা আস্তে আস্তে ফিকে হতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা টুমডাকে মেধাবী ক্রিকেটার বলেই বর্ণনা করেছেন। পাঁচ বছর বয়সে তিনি খেলা শুরু করেন। ২০১৪ সালে তিনি গুজরাত দলের হয়ে সুযোগ পান। পরে তিনি ভারতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান।