লকডাউনের আশীর্বাদই বটে! চলতি বছরেই দেশব্যাপী প্রায় ৮০ শতাংশ কমল সোনা পাচার
একটানা করোনা ভাইরাস লকডাউনের জেরে এদিকে যেমন তীব্র আর্থিক মন্দায় ডুবেছে গোটা দেশে সেখানে এই লডাউনের কারণেই মাথায় হাত পড়েছে সোনা পাচারকারীদের। সূত্রের খবর, লকডাউনের জেরে চলতি বছরে একধাক্কায় প্রায় অনেকটাই কমে গেছে সোনার চোরাচালান।

প্রতিমাসে প্রায় ২ টন করে কমেছে সোনা পাচারের পরিমাণ
এই প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া জেম এন্ড জুয়েলারী ডোমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এন অনন্ত পদ্মভানও এই বিষয়ে বেশ কিছু আশার কথা শোনাচ্ছেন। তাঁর মতে বর্তামনে প্রতিমাসে দেশে পাচার হওয়া সোনার পরিমাণ প্রতি প্রায় ২ টনে কমেছে। আর পুলিশি বা প্রশাসনের সরাসি হস্তক্ষেপ ছাড়াই এই সাফল্য এসেছে প্রধানত লকডাউনের কারণেই।

কি বলছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল?
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে এই বছর গোটা দেশে সোনার পাচারের পরিমাণ প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। চলতি বছরে পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াতে পারে মাত্র ২৫ টনে। গতবছরই এই পরিমাণ ছিল প্রায় ১২০ টন। এদিকে সদ্য প্রকাশিত কেন্দ্রীয় রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে চলতি অর্থবর্ষের অগাস্ট পর্যন্ত দেশীয় জিডিপি প্রায় ২৪ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হয়েছে। যার জেরে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি সোনার চাহিদাও অনেকটাই পড়েছে।

বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকায় পাচারকারীদের মাথায় হাত
এদিকে মার্চের শেষ ভাগ থেকেই বন্ধ ছিল প্রায় সমস্ত আন্তর্জাতিক ও অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। বর্তমানে অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বিশেষজ্ঞরা আকাশপথ ব্যবহার করেই এতদিন সর্বাধিক সোনার পাচার হত দেশে। কিন্তু বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকায় মাথার উপর বর্জ্রাঘাত নেমে এসেছে চোরাচালানকারীদের।

গত কয়েক বছরে পাচারকারীদের অন্যতম প্রধান বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভারত
এদিকে গত কয়েক বছরে চোরাচালানকারীদের অন্যতম প্রধান বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ভারত। নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান এবং মায়ানমার থেকেও সোনা পাচারকারীদের দৃষ্টি থাকে ভারতের উপর। অন্যদিকে ২০১৯-২০ সালে বেআইনি পথে চালানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কেরল থেকেই বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার পরিমাণ ৫৫০ কেজির আশেপাশে। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন চোরাপথে আসা সোনার ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে শুধুমাত্র আমদানি শুল্কের উপরে ৫ লক্ষ টাকারও বেশি লাভ হয় পাচারকারীদের। একইসঙ্গে এড়িয়ে যাওয়া যায় অন্যান্য করের বোঝাও।