কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মুজফরপুর, এখনও পর্যন্ত মৃত ছয়, আহত বহু
বড়সড় বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বিহারের মুজফরপুর। রবিবার সকালে স্থানীয় একটি ফ্যাক্টারিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে ফ্যাক্টারিতে বেশ কয়েকজন কাজ করছিল। আর সেই কাজ চলাকালীন প্রবল এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। জানা যাচ্ছে প্রবল এই বি
বড়সড় বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বিহারের মুজফরপুর। রবিবার সকালে স্থানীয় একটি ফ্যাক্টারিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই সময়ে ফ্যাক্টারিতে বেশ কয়েকজন কাজ করছিল। আর সেই কাজ চলাকালীন প্রবল এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। জানা যাচ্ছে প্রবল এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ঘটনায় আরও ১২ জন গুরুত্ব আহত বলে খবর। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা বলে জানা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সবারই স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। গিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল কারখানার আশেপাশের বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টারিতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি আশেপাশে যে কারখানাগুলিতে শ্রমিকরা কাজ করছিল তাঁদেরও আহত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই আগুন ধরে যায় কারখানাটিতে। যদিও দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে কারখানার মধ্যেই উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। অভিশপ্ত ওই কারখানায় আর কেউ আটকে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ঘটনায় মৃত এবং আহতদের পরিচিয় জানা যায়নি। তা জানার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় এক মানুষের কথায়, প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ হয়। আমরা আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে আসি।
অন্যদিকে আশেপাশের কারখানাগুলিতে কর্মরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই কাজ চলছিল। এরপর তীব্র আওয়াজ। ছুটে এসে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তবে ঠান্ডার কারনে শ্রমিকের সংখ্যা কমছিল বলে দাবি। যদিও সেই সময়ে কারখানার মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জন কারখানায় কাজ করছিল বলে দাবি। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। কারখানার দেওয়ার ভেঙে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ঠান্ডা না হলে প্রত্যেকদিন ৩০০ জন কারখানায় কাজ করত বলে দাবি স্থানীয়দের।
বিহারের মুজফরপুর জেলা আধিকারিক জানিয়েছেন, বয়লার ফেটেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। কারখানাটি কার সেই খোঁজ চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানিয়েছেন, বয়লার বিস্ফোরণে বহু কারখানার অংশ এদিক ওদিক ছিটকে যায়। আর তাতে আরও বেশ কয়েকটি কারখানা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে গাফিলতি থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের।