কালো টাকা উদ্ধার: ৩৫০ জনের তালিকা তৈরি, জানালেন অরুণ জেটলি
নয়াদিল্লি, ৯ ফেব্রুয়ারি : বিদেশের বেআইনি অ্যাকাউন্টে রাখা কালো টাকা বা করফাঁকি দেওয়া টাকার অধিকারি ৬০ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলিতে রাখা টাকার পরিমাণ ১৫০০ কোটি ছাড়াতে পারে। একইসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যপ্রমাণের কাজ শেষ। বাকিদের বিরুদ্ধেও প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। সম্পূর্ণ তালিকা ৩১ মার্চের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে।
কালো
টাকা:
তিনজনের
নাম
জানাল
কেন্দ্র,
তালিকায়
ডাবর
কর্তা
কালো
টাকা:
৬২৭
জনের
নাম
সুপ্রিম
কোর্টকে
দিল
কেন্দ্র
সূত্রের খবর, এই তালিকায় যেমন রয়েছে, নামি দামি বেশ কিছু কোম্পানি, তেমনই রয়েছে নামি ব্যক্তিবিশেষও। প্রায় ২৫০ জন ব্যক্তির সুইস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন।
আইন অনুযায়ী সমস্ত প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সূত্র। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সুইস লিক তালিকায় ১,১৯৫ জন ভারতীয়ের নাম রয়েছে। এই তালিকায় আইনি এবং বেআইনি অ্যাকাউন্টধারীদের দুইধরণের নাম থাকতেই পারে।
সুপ্রিম কোর্ট এই কালো টাকা উদ্ধারের নজরদারির জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করেছিল বিচারপতি এমবি শাহের নেতৃত্বে। বিচারপতি শাহ জানিয়েথেন, তদন্ত ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে, কারণ সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রায় ২০০ অ্যাকাউন্টধারী তদন্তে সায় জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। নভেম্বরেই ১০০ টি অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে, তিনি বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার করে নিয়ে আসবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পূর্বতন ইউপিএ সরকারের পথ ধরে কেন্দ্র। তারা গড়িমসি করতে থাকে। এর জেরে অগ্নিশর্মা সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করে, কেন তারা কালো টাকার মালিকদের মাথায় ছাতা ধরছে? আদালতের এই মনোভাবের পরও শৈথিল্য দেখালে জনমনে ভুল বার্তা যেতে পারে বলে বুঝতে পারে সরকার। তাই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তাঁর মন্ত্রকের অফিসারদের নির্দেশ দেন, নামগুলি আদালতকে জানাতে। সেই মতো অক্টোবরের শেষের দিকে ৬২৭ জনের নামের তালিকা শীর্ষ আদালতের হাতে পেশ করেছিল কেন্দ্র।
তবে নতুন যে নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে, তাতে আগের তালিকা থেকে আলাদা। দুটি তালিকার মধ্যে মিলিয়ে দেখতে হবে বলে জানিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল।