এখনও চল ডাইনি বিদ্যার! মেঘালয়ে এই ভাবে মৃত এক প্রৌঢ়
র্থ গারো হিলের চিমা ইম্পেল গ্রামে পরিবারের ওপর আক্রমণের জেরে পরিবারই বিপর্যস্ত। এই আক্রমণে ৬৮ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান সম্ভাবা কন্যা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
তাঁরা বলেন সময় এবং জোয়ার কারও জন্য অপেক্ষা করে না। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু গারো পাহাড়ের কিছু এলাকায় এই ঘটনাটি সত্য নয়। যেখানে ডাইনি বিদ্যার জেরে মানুষের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে এখনও।
নর্থ গারো হিলের চিমা ইম্পেল গ্রামে পরিবারের ওপর আক্রমণের জেরে পরিবারই বিপর্যস্ত। অভিযোগ ডাইনি বিদ্যার জেরে চারজন এই আক্রমণে সামিল হয়েছিল। এই আক্রমণে ৬৮ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান সম্ভাবা কন্যা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ। মেঘালয়ের দৈনাডুবি আউটপোস্টের অধীনে সারি আও গ্রামে। ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ একই পরিবারের তিনভাই-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে হত্যা ও নিপীড়নের অভিযোগে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রমণকারী যুবকদের মধ্যে একজনের পরিবারের এক সদস্য বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাদের ভ্রান্ত ধারনা হয়েছিল জাদু বিদ্যার জেরেই এই ঘটনা। জানিয়েছেন নর্থ গারো হিলসের এসপি ডালটন মারাক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্তরা বাড়িতে পোডিং মোমিনের বাড়িতে ঢোকে। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন পোডিং মোমিন(৬৮), তাঁর স্ত্রী সেনিং সাংমা (৬৫), তাদের সন্তান সম্ভাবা কন্যা এবং তাঁদের ছেলে। ছেলে কোনও ভাবে আক্রমণকারীদের হাত ফসকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাকি তিনজনকে মারধর করে গায়ে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। মারা যান প্রৌঢ় পোডিং মোমিন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে সেনিং সাংমা এবং তাঁর সন্তান সম্ভাবা কন্যা।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।