ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ: কোভিড রোগীর দেহে মিউকরমাইকোসিসের চিহ্ন চেনার উপায় একনজরে
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ, কোভিড রোগীর দেহে মিউকরমাইকোসিসের চিহ্ন চেনার উপায় একনজরে
দেশে কোভিডের দংশন ক্রমাগত বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে, করোনার তৃতীয় স্রোত রোখার প্রস্তুতিতে গোটা দেশ। বহু বিশেষজ্ঞেরই দাবি, দ্বিতীয় স্রোতের পরই ভারতে হানা দিতে শুরু করবে করোনার তৃতীয় স্রোত। অন্যদিকে, কোভিড সেরে গেলেও বহু রোগীর মধ্যে নতুন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপ দেখা যেতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রমেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে যে, কোন কোন উপসর্গ থাকলে করোনা রোগীর সুস্থতার সময় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রভাব রয়েছে কী না, তা জানা যাবে? একনজরে কিছু তথ্য।
৪৪ টি দেশে পাওয়া বি.১.৬১৭ প্রজাতির ভাইরাসকে ভারতীয় তকমা দেয়নি হু, স্পষ্ট দাবি কেন্দ্রের
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগটি আসলে কী?
প্রসঙ্গত, এই ব্ল্যাকফাঙ্গাস মূলত, একটি ফাঙ্গাসবাহিত রোগ। পরিবেশ জুড়ে রয়েছে এর 'মিউকোরমাইসিটিস'। এই 'মিউকোরমাইসিটিস' আসলে এক ধরনের মোল্ড। যে সমস্ত রোগীরা একটু দুর্বল বা তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরা এমন রোগের শিকার হচ্ছেন। বহু সময় কোভিড রোগীর মধ্যে এই রোগের সঞ্চার হচ্ছে, আবার বহু ক্ষেত্রে এই রোগ কোভিড সারিয়ে ওঠা রোগীদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ
বহু ক্ষেত্রে মুখের আকার যদি আচমকা বদলে যেতে থাকে, বা অত্যধিক মাথার যন্ত্রণা, সাইনাস, নাকের কাছে কালো ধরনের কোনও ঘা দেখা দিলে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও জ্বর, বুকে ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট থেকে সমস্যা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এমনকি দাঁত মাড়ি থেকে দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের অন্যতম উপসর্গ।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে রক্ষা পেতে কী কী করণীয়?
করোনা রোগীর দেহে যদি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস পাওয়া যায়, তাহলে একটি মাত্র উপসর্গ দেখলেই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা প্রয়োজন। কারণ, এই ফাঙ্গাস মস্তিষ্ক পর্যন্ত চলে যায়। নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজ আছে কী না, তা পরীক্ষা করতে হবে। স্টেরয়েড নিতে হলে তা ধীরে ধীরে সময়োপযোগী করে নিতে হবে।
কাদের ক্ষেত্রে এটি বড় ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে?
প্রসঙ্গত, বহু কোভিড রোগী যাঁদের কো মর্বিটিডি রয়েছে তাঁরা এমন রোগের শিকার হতে পারেন। এছাড়াও যাঁরা বহুদিন ধরে হিউমিডিফায়েড অক্সিজেন নিচ্ছেন বা স্টেরয়েড নিচ্ছেন কোনও কারণে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকি খুবই বেশি। এছাড়াও ক্যানসার রোগী যাঁরা ক্যামোথেরাপি সবে মাত্র শেষ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।