করোনা সংক্রমণের ভয়াল থাবার আড়ালে সন্তর্পণে জাল ছড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, কী এই রোগ রইল বিস্তারিত তথ্য
করোনা সংক্রমণের ভয়াল থাবার আড়ালে সন্তর্পণে জাল ছড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, কী এই রোগ রইল বিস্তারিত তথ্য
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক। করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীরে বাসা বানাচ্ছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। করোনার থেকেও ভয়াল এর থাবা। প্রাণঘাতীও বটে। করোনারর আতঙ্কের মাঝে চুপি সারে থাবা বসাচ্ছে এই মারণ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
কী ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ
করোনার সেকেন্ড ওয়েভের মধ্যেই আরেক নতুন প্রাণঘাতী রোগ দেখা দিয়েছে। তার নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক। ভয়ঙ্ক সেই ছত্রাকের সংক্রমণ। মানুষের প্রাণ চলে যেতে পারে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীরেই এই ছত্রাক বাসা বাঁধছে। সেরে ওঠার পরেই ফুসফুসে এই ছত্রাক বাসা বাঁধতে শুরু করছে। দিল্লি, মধ্য প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে করোনায় সেরে ওঠা রোগীদের শরীরে এই সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে।
কী উপসর্গ দেখা দেয়
করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীরেই মূলত বাসা বাঁধছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। চোখ ও নাক লাল হয়ে যাওয়া। জ্বর, মাথাব্যাথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, রক্তবমি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোয়াল ফুলে যাওয়া, দাঁতে ব্যাথা, চোখে দুটো দুটো দেখা, বুকে ব্যাথা। কানে শুনতে না পাওয়া। এরকম ভয়ানক সব একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তার সঙ্গে শ্বাস কষ্ট শুরু হচ্ছে। আইসিএমআরের তরফে সতর্ক করে জানানো হয়েছে যাঁরা ডায়াবেটিক তাঁদের আরও বেশি ভয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
কী করে চিহ্নিত হবে রোগ
কোনও ব্যাক্তির শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বাসা বেধেছে কিনা সেটা জানতে হলে কী করতে হবে এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা মুক্ত রোগীদের শরীরেই এই প্রাণঘাতী ছত্রাক বাসা বাঁধতে শুরু করছে। ডায়াবেিটক যাঁরা তাঁদের আরও বেশি করে সতর্ক থাকা জরুরি। সেকারণে প্রতিনিয়ত করোনা মুক্তদের রক্তে সুগার লেভেল মাপতে হবে।সেই সঙ্গে অক্সিজেনের মাত্রাও মেপে চলতে হবে।
কীভাবে চিকিৎসা
এই কালো ছত্রাকের সংক্রমণ শরীরে রোগ প্রতিরোধক শক্তি একেবারেই কমিয়ে দেয়। সেকারণে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই ওষুধ নিতে হবে তাঁদের। শরীরে পর্যাপ্ত জলের সরবরাহ রাখতে হবে। অর্থাৎ শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হবে। প্রয়োজনে স্যালাইন দিতে হতে পারে রোগীকে। সেরে ওঠার পরেও ৬ সপ্তাহ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে এবং নজরদারিতে থাকতে হবে।