রামবিলাসের খালি রাজ্যসভার আসনে অবশেষে বিজেপি প্রার্থী? এলজেপিকে ঘিরেও বাড়ছে জল্পনা
রামবিলাসের খালি রাজ্যসভার আসনে অবশেষে বিজেপি প্রার্থী? এলজেপিকে ঘিরেও বাড়ছে জল্পনা
এলজেপি-জেডিইউ দ্বন্দ্বের মাঝে ইতিমধ্যেই লাভের গুড় ঘরে তুলেছে বিজেপি। সদ্য সপ্তাহ বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতেই তার প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে। এবার এই সংঘাতের রেশ ধরে রাজ্যসভাতেও ক্ষমতা বৃদ্ধি হতে চলেছে বিজেপির। উল্টে এলজেপিকে 'তরুপের তাস’ করেই জেডিইউ-র সঙ্গেও সম্পর্কে শান দিতে চাইছে পদ্ম শিবির।
জেডিইউ-র সঙ্গে সংঘাতের জেরেই সুযোগ হাতছাড়া ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এলজেপি প্রতিষ্ঠাতা রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর ৮ অক্টোবর থেকে খালি হয়ে পড়ে রয়েছে তাঁর রাজ্যসভার আসনটি। এদিকে শেষবার বিজেপির সমর্থনেই এই আসনটিতেই বসেন রামবিলাস। প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল জেডিইউয়েরও। কিন্তু বর্তমানে চিরাগ পাসোয়ানের সঙ্গে সংঘাতের জেরে নীতীশ শিবিরের সঙ্গে অনেকটাই সম্পর্ক খারাপ হয়েছে লোক জনশক্তি পার্টির।
রাজ্যসভাতেও লাভের গুড় শেষে বিজেপির ঘরেই ?
এদিকে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী মহাজোটকে ধরাশায়ী করে বিহারে ক্ষমতায় এসেছে জেডিইউ-বিজেপির এনডিএ জোট। কিন্তু চিরাগ খোঁচায় ভোট কাটাকাটির জেরে বেশ কিছু জেতা আসনও হারিয়েছে জেডিইউ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এমতাবস্থায় কোনও ভাবেই জেডিইউকে চটিয়ে এলজেপি প্রার্থীকে ওই শূন্য আসনে সমর্থন দেবে না বিজেপি। এমনকী বিজেপি না বললে আগ বাড়িয়ে কিছু করতেও যাবেন না চিরাগ, এমনটাই ধারনা ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রার্থী হতে পারেন চিরাগের মা রীণা দেবী ?
যদিও ওই আসনে এলজেপি শিবিরের পদপ্রার্থী হিসাবে চিরাগ পাসোয়ানের মা রীণা পাসোয়ানের নাম শোনা গেলেও, বিপির সম্মতি না মেলায় তা এখন বিশ বাঁও জলে। যদিও মৃত বাবার বিজেপি-আনুরাগের কথা স্মরণ করেই বর্তমানে চিড়ে ভেজানোর চেষ্টা করছেন। রাম বিলাসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতেই তিনি রীণা দেবী প্রার্থী করতে চান বলেও জানিয়েছেন কিন্তু তাতে বিজেপি প্রাথমিক ভাবে নিমরাজি হয়েছে বলে শোনা গেলেও জেডিইউ নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ওই আসনে তারা কোনও ভাবেই কোনও এলজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করছেন না। অন্যদিকে ওই আসনে বিহারের প্রাক্ত উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী প্রার্তী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
ধোঁয়াশা কাটবে ৩ ডিসেম্বরই
আর এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে এটা স্পষ্টতই বলা যায় আসন্ন নির্বাচনে ফের লাভের গুড় ঘরে তুলে চলেছে পদ্ম শিবির। কারণ ইতিমধ্যেই রামবিলাসের মৃত্যুর পর ওই ফাঁকা আসনে উপনির্বাচনের দিনক্ষণও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে এমনিতে ওই আসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল । এমতাবস্থায় আগামী ৪ঠা ডিসেম্বরেই হবে ভোটগ্রহণ। আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৭ ডিসেম্বর।
শুভেন্দুকেই কি বার্তা দিলেন ঘুরিয়ে, নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে যে ইঙ্গিত মমতার