হোলিতে আগাম 'দিওয়ালি' উদযাপন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি কর্মীদের!
আজ হোলি উপলক্ষে সারা দেশের মতো রঙের খেলায় মেতে উঠেছিল মধ্যপ্রদেশও। সেই উদ্দেশ্যে রঙ খেলায় মাতেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি কর্মীরাও। তবে হোলির দিন বিজেপি কর্মীদের মুখে শোনা যায় আগাম 'দিওয়ালি' আসার উল্লাস। সৌজন্য, রাজ্যে কমলনাথ সরকারের পতনের আভাস।
মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে ঝড়
বেশ কয়েকদিন ধরেই উথাল পাথাল দেখছে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি। দলের সঙ্গে মনমালিন্যের জেরে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক 'নিখোঁজ' হয়ে যাওয়ার কথা চাউর হতেই বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ এনে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। তবে সেই যাত্রায় 'নিখোঁজ' বিধায়কদের ঘরে ফেরালেও শেষ রক্ষা হয়নি। সৌজন্য ৪ বারের কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
সিন্ধিয়াকে অনুসরণ করে ২২ কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা!
বিজেপির পথে পা যে বাড়িয়ে দিয়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায় হোলির দিন সকালেই। মঙ্গলবার সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে যান প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্যা। সিন্ধিয়া যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মোদীর বাসভবনে ঢোকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। জল্পনা ছিল আগেই। তবে এই ছবি সামনে আসতেই আর সব সন্দেহ চলে যায়। এর পরপরই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১৯ জন বিধায়ক। পরে ইস্তফা দেন আরও বেশ কয়েকজন। মোট ২২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে দেন। এদের সকলেরই পরবর্তী গন্তব্য বিজেপি।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জ্যোতিরাদিত্য
২০ জন মন্ত্রীর পদত্যাগ ও ১৭ জন বিধায়কের বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন জ্যোতিরাদিত্য। পরে আজ সকালে জানা যায় যে সিন্ধিয়া সোমবারই কংগ্রেস ছাড়তে চেয়ে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে। আর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টা ক্রমে পরিষ্কার হয়ে উঠতেই দলে সিন্ধিয়ার অনুগতরাও একই পথ ধরতে কংগ্রেস ছাড়তে উদ্যত হন।
মধ্যপ্রদেশে বিজেপির রাস্তা সাফ!
এদিকে এই ইস্তফআর হিড়িকে কমলাথের সরকারের পতন এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কমল নাথ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও আছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত কমল নাথ সরকারের সঙ্গে ১২০ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল। সেখানে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১০৭। সরকার গড়তে দরকার ১১৫-জন বিধায়কের সমর্থন। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করা ২২ জন বিজেপিতে যোগ দিলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে কমল নাথের সরকার। পাশাপাশি একধাক্কায় সরকার গড়ার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে যাবে বিজেপি। আর এতেই আগাম দিওয়ালির উচ্ছাসে ফেটে পড়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।