হিমাচলে গেরুয়া ঝড়, তবে কুর্সিতে কোন নেতা তা নিয়ে প্রশ্ন
হিমাচলে বিজেপি শেষ হাসি হাসলেও কাটা বিধে রইল বিজেপি গায়ে। পাঁচ বছর পর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলেও হেরে গেলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেমকুমার ধুমল।
হিমাচলে বিজেপি শেষ হাসি হাসলেও কাটা বিধে রইল বিজেপি গায়ে। পাঁচ বছর পর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলেও হেরে গেলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেমকুমার ধুমল।
Delhi: Party workers celebrate at party HQ, as trends indicate BJP's victory in both Gujarat & Himachal Pradesh #GujaratVerdict #HimachalPradeshElections2017 pic.twitter.com/BDJxPcB6hN
— ANI (@ANI) December 18, 2017
বেলা ১২ টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিজেপি এগিয়েছিল ৪২ টি আসনে, কংগ্রেস ২১ টি আসনে, সিপিএম একটি আসনে এবং অন্যরা ২ টি আসনে এগিয়েছিল।
PM Modi flashes victory sign as BJP takes unassailable lead in #GujaratVerdict, #HimachalPradeshElections
— ANI Digital (@ani_digital) December 18, 2017
Read @ANI story | https://t.co/Xduu9Dr1mK pic.twitter.com/c4Ey7YDoWQ
"Will form Government in both Himachal and Gujarat with clear majority" says Home Minister Rajnath Singh #HimachalPradeshElections2017 #GujaratVerdict pic.twitter.com/TZymBvklV7
— ANI (@ANI) December 18, 2017
প্রত্যেকটি সমীক্ষাতেই হিমাচল প্রদেশে বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ীই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়ে পাঁচ বছর পর ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি।
রাজ্যের ৬৮ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৩৩৭ জন প্রার্থী। ভোট দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রায় ৭৫.২৮ শতাংশ মানুষ। সংখ্যায় ৩৭,৮৩, ৫৮০ জন।
১৯৮৫ সাল থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতা বদল হয় কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। অন্যদিকে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর হিমাচলের মানুষ দেখেছে একবার বীরভদ্র সিংকে না হলে প্রেমকুমার ধুমলকে। অমিত শাহ দলের সভাপতি হওয়ার পর দলে বৃদ্ধতন্ত্রের অবসানের কথা জানালেও, এই রাজ্যেই থমকে যায় সেই নীতি। প্রশাসনিক এবং মানুষের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার কারণে টিকে যান প্রেমকুমার ধুমল। ২০১২-তে বিজেপির প্রেমকুমার ধুমলের হাত থেকে বীরভদ্র সিং-এর হাতে ক্ষমতা আসে। সেই সময় কংগ্রেস জিতেছিল ৩৬ টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছিল ২৬ আসন। অন্যরা পেয়েছিল ৬টি আসন।
বীরভদ্র সিং কিংবা প্রেমকুমার ধুমল, উভয়েই জননেতা। কিন্তু হিমাচলের রাজ পরিবারের সদস্য বীরভদ্র সিং। যিনি পরিচিত রাজা সাহেব হিসেবে। শোনা যায়, এবারের নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধী বাধ্য হয়েই বীরভদ্র সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হন। কেননা ২৭ জন বিধায়ককে নিয়ে তিনি দল ভাঙানোর হুমকি দিয়েছিলেন।
অপর দিকে, বিজেপির অটোমেটিক চয়েস ছিলেন প্রেমকুমার ধুমল। একসময়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে জেপি নাড্ডার নাম উঠলেও, দলীয় নেতৃত্ব প্রেমকুমার ধুমলকেই বেছে নেয়। যদিও ধুমল হেরে যাওয়াতে নেতা খুঁজতে নামতে হচ্ছে বিজেপিকে।
এবছরেই নিজের পরিচিত কেন্দ্র হামিরপুর থেকে সরিয়ে সুজনপুরে দাঁড় করানো হয় ধুমলকে। সোমবার গণনায় শুরুর দিকে অনেকটা সময়ই পিছিয়ে ছিলেন ধুমল। একটা সময়ে কিছু ভোটে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত হেরে যান তিনি। হেরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর ছেলে বিক্রমাদিত্য সিংও।