ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে ৯৬ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি
আরও বড় জয় পেল বিজেপি। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের উপনির্বাচনে ৯৬ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে বিজেপি।
এবছরই ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে ত্রিপুরায়। লাল দুর্গে আঘাত হেনে গেরুয়া ঝড় বয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে। সিপিএমকে সরিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। আর এবার আরও বড় জয় পেল বিজেপি। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের উপনির্বাচনে ৯৬ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে বিজেপি।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে এই পরিসংখ্যানের কথা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জিকে রাও জানিয়েছেন।
গত মার্চে ত্রিপুরায় বিজেপি ও আইপিএফটি ক্ষমতায় আসার পরে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের সব স্তরে দল বদলের হিড়িক পড়ে যায়। দলে দলে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা দল ছাড়েন, পদত্যাগ করেন। মোট ৩ হাজার আসনে ভোট করার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কারণ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ তিন জায়গা থেকেই হাজার হাজার জন পদত্যাগ করেন।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি জোর খাটিয়ে সকলকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছে। এবং পরে মনোনয়নপত্র জমা করতেও দেয়নি। যার ফলে বিজেপির সকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে।
৩০ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে ৩৩৮৬টি আসনের মধ্যে ৩২০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৬১টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ১৮টি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে। তার মধ্যে সবমিলিয়ে ৩২৪৭টি আসন (৮৫.৮৯ শতাংশ) বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছে।
ফলে ৩০ সেপ্টেম্বর মাত্র ১৩২টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, সাতটি পঞ্চায়েত সমিতি আসনে ভোট হবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জিকে রাও জানিয়েছেন।
বিজেপির সঙ্গী আইপিএফটি-ও সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলে নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছে, তা সম্ভব নয়। কারণ কোনও জায়গা থেকে হিংসার রিপোর্ট জমা পড়েনি। মনোনয়ন জমা করার অফিসে কোনও গোলমাল হয়নি। বিডিও-র কাছে একটিমাত্র অভিযোগও জমা পড়েনি।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধরের অভিযোগ, প্রথমে জোর করে আমাদের প্রার্থীদের পদত্যাগ করানো হয়েছে। পরে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি। পাল্টা বিজেপির মুখপাত্র মৃণালকান্তি দেব বলেছেন, বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। মানুষ তাদের পরিত্যাগ করেছে। বিরোধীদের সংগঠন ভেঙে পড়েছে।