
হিমাচল প্রদেশ নির্বাচন ২০২২: বিজেপি জয়ের 'প্রথা' পরিবর্তন করবে! দাবি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের
২০১৭ সালে প্রার্থী তালিকায় থাকা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। আর এবার হিমাচল প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে প্রার্থীদের তালিকাতেই রাখেনি বিজেপি। ক্ষমতায় ফিরলে বিধায়করাই নেতা নির্বাচন করবে বলে ঠিক করেছে বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতেও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার দাবি করেছেন।

হিমাচলে এনেক কাজ হয়েছে
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর দাবি করেছেন, গত ৫ বছরে বিজেপির শাসনে হিমাচল প্রদেশের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। বড় বড় প্রকল্প হয়েছে। তিনি বলেছেন, বিজেপি যা বলে তাই করে। বর্তমানে দেশে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী আর কোনও দল নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, সারা বিশ্বেই এই পরিস্থিতি। অন্যদিকে রাজ্যে নতুন কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি করাই সরকারের অগ্রাধিকার।

জয়ের 'প্রথা' বদল হবে
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এবার হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সরকার বদলের প্রথার বদল হবে। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা ভাল ১৯৮৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস কিংবা বিজেপি কেউই পরপর দুবার হিমাচল প্রদেশের ক্ষমতায় আসতে পারেনি। অর্থাৎ প্রতি ৫ বছরে সেখানে সরকার বদলের রেওয়াজ রয়েছে পাহাড়ি ওই ছোট রাজ্যে।
নির্বাচনে নিজের টিকিট পাওয়া নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য না করলেও, তিনি টিকিট বন্টন প্রসঙ্গে বলেছেন, এবার ১১ জন বিধায়ককে বদল করা হয়েছে। পাশাপাশি দলের বিদ্রোহী নেতাদের রাজি করানো যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। কেননা ৬৮ টি আসনের মধ্যে সেখানে ৩০ টি আসনে প্রার্থী নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি, এমনই দাবি স্থানীয় সূত্রে। এর মধ্যে রয়েছে কাংড়া ১৫ টি আসন, মাণ্ডির ১০ টি ও চাম্বার ৫ টি আসন। গত কয়েকদিন ধরে হিমাচল প্রদেশে থেকে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

কংগ্রেসকে নিশানা
হিমাচল প্রদেশে বিজেপির লড়াই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে দিয়ে জয়রাম ঠাকুর বলেছেন, কংগ্রেস হিমাচল প্রদেশে নেতৃত্বহীন। আর রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, কংগ্রেস রাহুল গান্ধীর থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সময় তিনি কংগ্রেস নেতাদের দল ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় আম-আদমি পার্টিও
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকার হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, আম-আদমি পার্টিকেও নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্যে আম-আদমি পার্টির কোনও ভবিষ্যত নেই। হিমাচল প্রদেশে লড়াই চালাতে গিয়ে আপের নেতার হাফিয়ে উঠেছিলেন, সেই কারণে তাঁরা গুজরাতে চলে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
নভেম্বরের শুরুতে দিন ঘোষণা! দুই দফায় গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা