বিহার-দিল্লির ভোটে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদী-শাহ! হারের আতঙ্ক তাড়া করছে বিজেপিকে
এক বছরের মধ্যে পাঁচ রাজ্য হাতছাড়া হয়েছে। তার আগে হার মানতে হয়েছিল পঞ্জাব, কর্ণাটক ও পণ্ডিচেরিতেও। এবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিজেপির কাছে আতঙ্কের হতে চলেছে দিল্লি ও বিহারের নির্বাচন। আগামী বছরেই দুই রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপিকে যে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, তা স্পষ্ট।

চিন্তা বাড়ল বিজেপি শিবিরের
বছর খানেক আগেও বিজেপি দেশের ৭০ শতাংশের বেশি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল। এখন তা নেমে এসেছে ৪০-এরও নিচে। অর্থাৎ ৬০ শতাংশের বেশি রাজ্য এখন অ-বিজেপি দলদগুলির হাতে। এবার ঝাড়খণ্ডে হারের পর এক বছরের মধ্যে পাঁচটি রাজ্যে ক্ষমতা হারাল বিজেপি। তাই আসন্ন দুই রাজ্য নিয়ে এখন থেকেই চিন্তা বাড়ল বিজেপি শিবিরের।

লোকসভায় জেতার পরও হার
লোকসভার আগেও যেমন একের পর এক রাজ্যে ধাক্কা খাচ্ছিল বিজেপি, লোকসভা ভোটের পরও সেই প্রবণতা জারি রয়েছে। ২০১৮ সালে ক্ষমতাসীন দল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনে হার মেনেছে। তারপর অবশ্য সেই হার সামাল দিয়ে ২০১৯-এর সালের লোকসভা ভোটে বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি।

মোদী-শাহের মাথাব্যথার কারণ
কিন্তু লোকসভা ভোটের পর তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপিকে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়। তার মধ্যে দুটি রাজ্যের দখল হারায় বিজেপি। শুধু হরিয়ানায় ম্যানেজ করে ক্ষমতা ধরে রাখতে সফল হয় তারা। এবার ঝাড়খণ্ডেও হার মানতে হল তাদের। সেটাই মোদী-শাহের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।

বিহার-দিল্লির ভোটেও প্রভাব
আরজেডি সাফ জানিয়ে দিয়েছে ঝাড়খণ্ডের ফলাফল বিহারের ভোটেও প্রভাব ফেলবে। আর কংগ্রেস বলেছে, দিল্লিতেও বিজেপির একইরকম পরিণতি হবে। এর আগে লোকসভার সেমিফাইনাল বলে উল্লেখিত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপিকে ল্যাজেগোবরে করে ছেড়েছিল কংগ্রেস।