তৃণমূলকে পথে নেমে আটকালেই কি ঠেকাতে পারবে বিজেপি, পৃথক অবস্থান সিপিএমের
তৃণমূলকে পথে নেমে আটকালেই কি ঠেকাতে পারবে বিজেপি, পৃথক অবস্থান সিপিএমের
তৃণমূল বাংলা জয় করে এবার ত্রিপুরা অভিযানে নেমেছে। মিশন ত্রিপুরা অভিযানে তারা আবারও বিজেপির হামলার মুখে পড়ল সোমবার। কিন্তু কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরায়। তবে কি সত্যিই তৃণমূলকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। আর ভয় পেয়েই বিজেপি পথে নেমে তৃণমূলকে আটকাচ্ছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের পাশেই দাঁড়িয়েছে সিপিএম।
২০১৬ ও ২০২১- দু-বারের মধ্যে বিস্তার ফারাক
তৃণমূল আজ নতুন নয়, আগেই ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তারে নেমেছিল। কিন্তু দু-বারের মধ্যে বিস্তার ফারাক। ২০১৬-য় তৃণমূলের যাত্রাপথ ছিল অনেক মসৃণ। সেবার ত্রিপুরায় ছিল সিপিএমের সরকার। তখন তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারে কোনও বাধা আসেনি। তৃণমূল নির্বিঘ্নে অনেকদূর এগিয়েছিল। পরে সেই সংগঠন বিভাজিত হয়ে বিজেপিতে চলে যায়।
প্রশান্ত কিশোরের টিমকেও আটকানো হয়েছিল, অভিষেককেও
এখন ত্রিপুরায় বিজেপির সরকার। যে বিজেপি সরকার তৃণমূলের শক্তিহরণ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ত্রিপুরার। এবার যখন বাংলার নির্বাচনে জিতে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরার দিকে হাত বাড়িয়েছে, তাদের আটকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। প্রশান্ত কিশোরের টিমকেও আটকানো হয়েছিল। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা চালানো হল।
তৃণমূল তো আগেও সংগঠন বিস্তারে নেমেছিল
এই দুই ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেন, তৃণমূল তো আগেও সংগঠন বিস্তারে নেমেছিল। এটা তাই নতুন নয়। তখন কিন্তু কোনওরকম বাধার মুখে পড়তে হয়নি। এখন বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাহলে আপনারাই ভাবুন কী এর কারণ। ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা ও শাসকদলের মানসিকতা নিয়েই ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন মানিক সরকার।
বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম তৃণমূলের পাশে
প্রশান্ত কিশোরের টিম আই প্যাক গত সোমবার ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন সমীক্ষা চালানোর জন্য। তাঁদের আগরতলার একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়। গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল ২৩ সদস্যকে। শেষমেশ বাংলা থেকে তৃণমূলের নেতৃত্ব ত্রিপুরায় গিয়ে তাঁদের মুক্তির বন্দোবস্ত করে। বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম উভয়েই বিজেপি সরকারের এই অবস্থানের সমালোচনা করে।
অভিষেকের গাড়িতে হামলা, ত্রিপুরার রাজনীতি উত্তাল
তারপর ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব মন্তব্য করেন, তাঁরা অতিথিকে দেবতা মানেন। অতিথি দেব ভবঃ। কিন্তু তারপরও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা চালানো হল সোমবার। লাঠি হাতে বিজেপির পতাকা হাতে একদল লোক অভিষেকের গাড়ি লক্ষ্য করে চড়াও হয়। তারপরই ত্রিপুরার রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে।
তৃণমূল-বিজেপির শাসন চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন মানিক
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, এর আগে বাংলায় তৃণমূল সরকারের হাতে আক্রান্ত হয়েছে সিপিএম। এখন ত্রিপুরায় বিজেপির হাতে আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। উভয়েই শাসক হিসেবে একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা এখানে শাসক থাকাকালীন তৃণমূল সংগঠন বিস্তারে এসেছিল। কিন্তু কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি। এবারই দেখুন কী তৃণমূল-বিজেপির শাসনে।
পতাকা লাগাতে গিয়ে ত্রিপুরাতে আক্রান্ত দেবাংশু সহ একাধিক নেতা-কর্মী, আটকানো হল অভিষেকের কনভয়