বিরোধীদের অন্ধকারে রেখে হচ্ছে ভোট! ৩৭০ ধারা ও রাজ্যভাগের ফায়দা তুলছে বিজেপি
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হয়ে গিয়েছে। তার পর রাজ্যকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে কেন্দ্র। বিরোধী নেতাদের বন্দি করে এই সিদ্ধান্ত রূপায়িত করতে হয়েছে মোদী সরকার।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হয়ে গিয়েছে দুই মাস আগে। তার পর রাজ্যকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে কেন্দ্র। বিরোধী নেতাদের বন্দি করে এই সিদ্ধান্ত রূপায়িত করতে হয়েছে মোদী সরকার। বিরোধী নেতারা সম্প্রতি ছাড়া পেলেও তাঁদের সঙ্গে কাউকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আর বিজেপি এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে।
তড়িঘড়ি ভোট করে ফেলতে চাইছে বিজেপি
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে তড়িঘড়ি ভোট করে ফেলতে চাইছে বিজেপি। ৩৭০ ধারা উচ্ছেদের পর প্রথম নির্বাচনী দামামা বেজেছে কাশ্মীরে। বিরোধীরাও ছত্রভঙ্গ। এখন ভোট হলে বিজেপির জয ছাড়া বিকল্প কোনও ফল হবে না, তা নিশ্চিত। বিজেপি চাইছে বিরোধী চ্যালেঞ্জ শক্তপোক্ত হওয়ার আগেই নির্বাচন সেরে ফেলতে।
যোগাযোগ নেই, বিরোধী চ্যালেঞ্জ ক্ষীণ
আঞ্চলিক স্তরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে যুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যরা দলীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে নিচুতলায় তাদের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিজেপিকে সমর্থনের কথা বিবেচনা করছেন তাঁরা। বিরোধী চ্যালেঞ্জ ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে কাশ্মীরে।
দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতে বাধা
৩৭০ ধারা ও ৩৫এ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ায় এনসি, পিডিপি, কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা তাঁদের দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারেননি। তাঁদের বেশিরভাগ আটক রয়েছে ৫ আগস্ট থেকে।
রাজ্যভাগে সঙ্কট তীব্রতর
তারপর ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ অনু্চ্ছেদ রদ করার পাশাপাশি রাজ্যকে ভেঙে দু-ভাগ করে দিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়েছে ভূ-স্বর্গ। এই বিভাজনও আঞ্চলিক দলগুলিকে সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। উন্নয়ন প্রক্রিয়া বজায় রাখতে বিজেপিকে সমর্থন করা ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই বলেই দল ছাড়ছেন নেতা-কর্মীরা।
বিরোধী নেতাদের নিষ্ক্রিয় রেখে ভোট
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের সরপঞ্চ নিসার আহমেদ একজন কংগ্রেস সদস্য। তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনও দল প্রার্থীই দিচ্ছে না। আরও এক সরপঞ্চ বলেন, তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন পরিচালিত করা হচ্ছে বিরোধী নেতাদের নিষ্ক্রিয় রেখে। প্রত্যেকেই আওয়াজ তুলতে ভয় পাচ্ছেন।