কমলের পতনে কমল ফুটবে নর্মদার তীরে! মধ্যপ্রদেশ নিয়ে কংগ্রেসকে হুঙ্কার বিজেপির
আপাতত করোনা ভাইরাসের জেরে সরকার বাঁচাতে সক্ষম হলেও সেই সরকার বেশিদিন থাকবে না বলে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ার করে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা বিনয় সহস্রবুদ্ধি। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল লালাজি ট্যান্ডনের নির্দেশে আজই মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা ছিল মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের। তবে করোনা ভাইরাসের করাণ দেখিয়ে ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি করা হয় অধিবেশন। আর এর জেরে পিছিয়ে যায় আস্থা ভোটও।

কংগ্রেসকে কটাক্ষ বিজেপি নেতার
এদিন তিনি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বিনয় আরও বলেন, 'কংগ্রেসের উচিত তাদের বিধায়কদের দেখভাল করার বিষয়টি অন্য কোনও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া। আমরা তো আর কংগ্রেস সরকারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দায়িত্ব নিয়ে রাখিনি।' পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, 'খুব শীঘ্রই কমলনাথের পতনে নর্মদার তীরে কমল ফুটবে।'

সিন্ধিয়া বাদায়ে সূচনা হয় কমল পতনের
এই সব টালমাটালের সূত্রপাত হয়, কংগ্রেস ছেড়ে সিন্ধিয়ার বিজেপিতে নাম লেখানোর ফলে। বিজেপির পথে যে তিনি পা বাড়িয়ে দিয়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায় হোলির দিন সকালেই। মঙ্গলবার সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে যান প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্যা। সিন্ধিয়া যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মোদীর বাসভবনে ঢোকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। জল্পনা ছিল আগেই। তবে এই ছবি সামনে আসতেই আর সব সন্দেহ চলে যায়। এর পরপরই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১৯ জন বিধায়ক। পরে ইস্তফা দেন আরও বেশ কয়েকজন। মোট ২২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে দেন।

আস্থা ভোটের দবি জানায় বিজেপি
এর পরেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির ১০৬ জন বিধায়ক দাবি করেন যে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আস্থা ভোট করে নতুন সরকার গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু হোক। এরপরই রাজ্যের রাজ্যপাল বিধানসভার অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন আস্থা ভোটের জন্য।

বিক্ষুব্ধ বিধায়ক নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা?
এদিন বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বিজেপি নেতা বলেন, 'দেখুন, এরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক রাজনৈতিক। এরা সকলেই আত্মসম্মানের সঙ্গে নিজেদের কাজ করতে চায়। পাশাপাশি দলের ইস্তেহারে যা আছে তা পূরণ করতে চায়। তবে দল যদি তা করতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের দল থেকে বেরিয়ে আসা ছাড়া উপায় নেই। কংগ্রেস বিধায়করা তা করেছেন। এখন বিধানসভার অধ্যক্ষএর কর্তব্য তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করা।' তবে এই বিধায়কদের দলে নেওয়ার বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ বিনয়।

কংগ্রেসের কাছে সংখ্যা নেই
বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। ২২৮ সদস্যের বিধানসভায় ৬ জন বিধায়কের ইস্তফা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছেন অধ্যক্ষ। এর জেরে সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২২২-এ। যার অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার ১১২। তবে ২১ জন বিধায়ক ছাড়া সেই সংখ্যার ধআরের কাছেও পৌঁছাবে না কমলনাথের সরকার। আর যদি বাকি ১৬ জনের ইস্তফাও গ্রহণ হয়, তবে তো কংগ্রেসের আরও কোনও উপায় থাকবে না।