বিজেপিতে বিদ্রোহের আগুন, সন্দেহের চাদর জড়িয়ে জেডিইউ! ফের চিড় এনডিএ-তে?
আল্টিমেটামেও কাজ দিল না। বিদ্রোহী নেতাদের দলে ফেরাতে ব্যর্থ হল বিজেপি। আর এতেই আরও জটিল হতে শুরু করেছে বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণ। বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে যে এলজেপি বা চিরাগ পাসোয়ানের সঙ্গে কোনও যোগ রাখতে ইচ্ছুক নয় তারা। তবে তাতেও জেডিইউকে সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হচ্ছে প্দম শিবির।
আল্টিমেটামেও বিজেপিতে ফিরলেন না বিদ্রোহীরা
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বিহারের ৪২টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেন চিরাগ পাসোয়ান। তাতে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকটি আশনেই বিজেপি এবং জেডিইউর বিক্ষুব্ধদের আসন দিয়েছেন চিরাগ পাসোয়ান। বিজেপি থেকে অন্তত পাঁচজন বিদ্রোহী চিরাগের শরণাপন্ন হয়েছেন। এই বিদ্রোহীদেরই দলে ফেরার আল্টিমেটাম পেশ করেছিলেন বিজেপির বিহার প্রদেশের প্রধান সঞ্জয় জয়সওয়াল। তবে ১২ তারিখের সেই আল্টিমেটাম বেমালুম অগ্রাহ্য করেছেন বিদ্রোহী নেতারা। আর এতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিজেপির।
বিদ্রোহীদের মধ্যে সব থেকে হাই প্রোফাইল নাম
বিজেপির বিদ্রোহীদের মধ্যে সব থেকে হাই প্রোফাইল নামটি হল রাজেন্দ্র সিং। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দুর্গ হিসাবে পরিচিত দিনারা আসন থেকে দাঁড়িয়েছিলেন রাজেন্দ্র। ৩৭ বছর ধরে আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকা রাজেন্দ্র সিং পরিচিত ছিলেন তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতার জন্য। তবে রাজেন্দ্র সেবার হেরে গিয়েছিলেন জেডিইউ-র প্রার্থীর কাছে।
জেডিইউ এখন সন্দিহান
এহেন রাজেন্দ্র সিংকেই এবার টিকিট দিতে চলেছেন চিরাগ পাসোয়ান। এবং বিজেপি-জেডিইউর গড়ে হানা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন জুনিয়র পাসোয়ান। এদিকে এলজেপিতে যোগ দিলেও রাজেন্দ্রর টুইটার অ্যাকাউন্টের বায়োতে এখনও জ্বলজ্বল করছে বিজেপিতে তাঁর পদ। এতে আরও অস্বস্তি বেড়েছে পদ্ম শিবিরের। এবং জেডিইউর সামনে আরও ঘনীভূত হয়েছে সন্দেহর চাদর।
পাসোয়ানের ছত্রছায়ায় যান রাজেন্দ্র
২০২০ সালে এসে বিজেপির থেকে টিকিট না পেয়ে চিরাগের শরণাপন্ন হন তিনি। যে আসনে রাজেন্দ্র লড়তে চেয়েছিলেন সেখান থেকে জোট প্রার্থী হচ্ছেন জেডিইউ-র জয় কুমার সিং। উল্লেখ্য এই জয় কুমারের কাছেই ২০১৫ সালের নির্বাচনে হেরেছিলেন রাজেন্দ্র। আর এবার জোট সমীকরণের জালে টিকিটও পাননি রাজেন্দ্র। এরপরই এলজেপির সঙ্গে যোগাযোগ এবং পুরোনো দল ছেড়ে পাসোয়ানের ছত্রছায়ায় যান রাজেন্দ্র।
মোদীকে 'সাহায্য'-এর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন চিরাগের
এদিকে চিরাগের মোদীকে 'সাহায্য'-এর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপনে আরও ঘোলাটে হয়েছে জল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন যে আসলে নীতীশকে চাপে রাখতেই পিছন থেকে এলজেপিকে সাহায্য করছে বিজেপি। এবং বিদ্রোহীদের এলজেপির শিবিরে পাঠানোও আসলে বিজেপির চাল। জেডিইউ-র একাংশও এই বিষয়ে বিশ্বাস করতে পারছে না বিজেপিকে। এতেই অবিশ্বাসের একটি ঘন কালো মোড়কে চিড় ধরছে বিজেপি-জেডিইউ জোটে।
বিজেপি-জেডিইউ দ্বন্দ্ব
এদিকে মুখে যে যাই বলা হোক, বিজেপি-জেডিইউর মধ্যে যে সব ঠিক নেই, তা এখন ওপেন সিক্রেট। বিজেপি জেডিইউর দুই জন নেতাকে তাদের টিকিটে ভোটে দাঁড় করাচ্ছে। প্রমোদ সিনহা এবং ক্রিষ কুমারকে বিজেপি নিজেদের দলে নিয়েছে। এদিকে এর পাল্টা হিসাবে জেডিইউ-ও বিজেপি থেকে অমর কুমার সিং এবং সাবা জাফরতে নিজেদের দলে নিয়ে টিকিট দিয়েছে। আর এসব দেখে জোটের ফাটল চওড়া হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষর্রা।
জিএসটি ক্ষতিপূরণের বদলে রাজ্যগুলিকে ৫০ বছরের জন্য সুদ-বিহীন ঋণের ঘোষণা কেন্দ্রের