ভোটের শুরুর দিনেই বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশ, শেষ মুহূর্তের বদলেই দেরী : সূত্র
যদিও ইস্তাহার প্রকাশের দেরীর পিছনে রাজনৈতিক মহলের একাংশ দলের আভ্যন্তরীন দূরত্বকেই দায়ী করেছে। দলের ভিতরেই মোদী পক্ষ ও মোদী বিপক্ষ দলে ভাগ হয়ে গিয়েছে। মূলত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটা তা হল, দলের অধিকাংশ বরিষ্ঠ নেতা যাঁরা ইস্তাহার তৈরির দায়িত্বে ছিলেন এবারের লোকসভা নির্বাচনেও লড়ছেন তাদের নিজস্ব কেন্দ্র প্রচারও করতে হচ্ছে। ফলে সময়ের অভাবে দলের ইস্তাহারের খসড়া তৈরিতে বাধা পড়েছে। সেই কারণেই অনেকটা দেরী হয়ে গিয়েছে বলে বিজেপির অন্দরের খবর।
বিজেপির এই দেরীর সমালোচনা করতে ছাড়েনি শাসক দল কংগ্রেস। যে দল সুদৃঢ় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনাগত কর্মদক্ষতার কথা বলেন, সে দল এখনও ৯ দফা লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইস্তাহার প্রকাশ করতে পারল না এটা আশ্চর্যের। টুইটারে টুইট করে এমনটাই মন্তব্য করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী।
দলের বরিষ্ঠ নেতারা প্রচারে ব্যস্ত থাকায় ইস্তাহার তৈরিতে দেরী হয়েছে : বিজেপিসূত্র
২৬ মার্চই কংগ্রেস দলের ইস্তাহার প্রকাশ করে। যাতে লক্ষ লক্ষ চাকরিতে নিয়োগ, সামাজিক বেশ কিছু প্রকল্পের আশ্বাস রয়েছে, যদি কংগ্রেস টানা তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসে তবে এই প্রতিশ্ররতিগুলি সরকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর,ইস্তাহারের খসড় তৈরি হয়ে যাওয়ার পর দলের সাধারণ বৈঠকে ইস্তাহারটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। কিছু নেতাদের বক্তব্য, ইস্তাহারটিতে শুধু একগাদা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এর আয়তন অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে। এর পরেই ঠিক হয়, কার্যবিবরণীতে কাচ-ছাঁট করে ৬০ পাতার মেদবিহীন, অর্থপূর্ণ ইস্তাহার তৈরি করা হবে।
বিজেপির নতুন স্লোগানও থাকবে ইস্তাহারে। যা হল, 'সবকা সাথ,সবকা বিকাশ' অর্থাৎ সবার সঙ্গ, সবার বিকাশ। আরএসএস চাইছে ইস্তাহারে রাম মন্দিরের প্রচারের বিষয়টিও রাখতে। এদিকে গত ৯ মাসের প্রচারে মোদী শুধু মাত্র উন্নয়নের দিকটাই তুলে ধরেছেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িক বিষয়সূচি থেকে দূরেই থেকেছেন। আসলে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রমাণ করতেই শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের ইস্যু যে আলাদা করে তুলে ধরলে চলবে না তা বুঝেছেন মোদী। তাই এবারের ইস্তাহারে ২০০৪ ও ২০০৯-এ মতো রাম মন্দিরের দাবী তোলা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।