সেনার বায়নাকে পাত্তা না দিয়ে মহারাষ্ট্রে কী হবে তা স্পষ্ট করল বিজেপি
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। সৌজন্যে শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি।
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। সৌজন্যে শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি। মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রসঙ্গে জলঘোলা শুরু হতেই জোটের ভবিষ্যত নিয়েও উঠে গেছে প্রশ্ন। এরই মধ্যে বিজেপি শিবিরের খবর, শিবসেনাকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। যদিও সেনা শিবির তাদের ফিফটি-ফিফটি ফর্মুলায় অনড়।
বিধায়কদের সংখ্যার অনুপাতে মন্ত্রিত্ব, বলছে বিজেপি
২০১৪ সালে মন্ত্রিত্ব বন্টণের ক্ষেত্রে বিধায়কদের সংখ্যার অনুপাতের ফর্মুলা গ্রহণ করেছিল বিজেপি-সেনা জোট। প্রতিটি ১২ জন বিধায়কের জন্য একজন করে পূর্ণ মন্ত্রী ও ৬ জন বিধায়কের জন্য থাকবে একজন করে জুনিয়র মন্ত্রী। এই সমীকরণেই মন্ত্রিসভা গঠন করে পাঁচ বছর সরকার চালান দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এই বারও বিজেপি সেই ফর্মুলায় সরকার গঠনের কথা বলছে।
বিজেপির ফর্মুলায় মাত্র ৫ জন মন্ত্রী হবে সেনা শিবির থেকে
গত নির্বাচনে আলাদা লড়েছিল দুই দল। তবে এই নির্বাচনে জোট গড়ে লড়লেও আসন কমেছে দুই দলেরই। উভয় দলই গতবারের তুলনায় ৭ ও ১৭টি আসন কম পেয়েছে। সেই হিসাবে গতবারের ১৮ জন মন্ত্রীর জায়গায় বিজেপির হওয়ার কথা ১৭ জন মন্ত্রী। অপর দিকে সেনার মন্ত্রী সংখ্যা একজন কমে দাঁড়াবে পাঁচ-এ।
সেনাকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না
বিজেপি অনুপাতের নিরিখে মন্ত্রিত্ব বন্টণের কথা বললেও সেনার দাবি সমান ক্ষমতার। সেই ক্ষেত্রে আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব দিতে হবে শিব সেনাকে। বাকি সময় বিজেপি নিজের মুখ্যমন্ত্রীকে সরকারের শীর্ষে বসাতে পারে। এদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছের লোকেরা জানাচ্ছেন, শিব সেনাকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
জট ছাড়াতে অমিত শাহ-র দিকে তাকিয়ে শিবসেনা
সূত্রের খবর, গতকালই সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করে মহারাষ্ট্রে জোটের জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানান বিজেপির সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ। তবে সরকার গঠনের বিষয়ে দীপাবলীর পর আলোচনা হবে বলে উদ্ধবকে জানান তিনি। তবে শিবসেনা জানাচ্ছে, তারা আশা করে ছিল যে অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে জোটের জট কাটাবেন।