মেঘালয়ও সহজ হবে না তৃণমূলের, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুঝিয়ে দিল বিজেপি
মেঘালয়ও সহজ হবে না তৃণমূলের, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুঝিয়ে দিল বিজেপি
তৃণমূল ত্রিপুরার থেকে মেঘালয়ের লড়াইকে সহজ ভাবলেও, বিজেপি কিন্তু মমতার সফরের একদিন পরেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারে, কিন্তু মেঘালয়ে বিজেপি দুর্বল। এখানে লড়াই হবে আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে, এটাকে সারসত্য ভেবে থাকলে, তা চূড়ান্ত মূর্খামি বলে জানিয়ে দিল বিজেপি।
বিজেপিও বহরে বড় মেঘালয়ে
তৃণমূল ১১ জন কংগ্রেসিকে ভেঘে নিয়ে মেঘালয়ে দলের বিস্তার ঘটিয়েছে। খাতায়-কলমে তারা এখন মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু মেঘালয় নিয়ে মমতা-অভিষেকের প্রচ্ছন্ন বার্তার পর বিজেপি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জবাব দিল তৃণমূলকে। তাঁরাও বহরে বড় হয়ে দেখা দিল মেঘালয় রাজ্যে।
নির্বাচনে না লড়েও প্রধান বিরোধী
মেঘালয়ে ২০১৮-র নির্বাচনে বড় দল হয়েও সরকার গড়তে পারেনি কংগ্রেস। বিজেপি ২টি আসন দখল করেও বিরোধীদের এককাট্টা করে সরকার গড়ে পেলে। এনপিপি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন হয় মেঘালয়। তারপর যথারীতি ২১ আসন পাওয়া কংগ্রেসে ভাঙন ধরে। শেষ তৃণমূলও কংগ্রেসের ১১ জন বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়ে নির্বাচনে না লড়েও প্রধান বিরোধী দল হয়ে যায়।
বিজেপিতে যোগদান চার বিধায়কের
তৃণমূল যখন মেঘালয়কে গুরুত্ব দিয়ে কর্মী-সম্মেলন করেছে মঙ্গলবার, বুধবারই তার পাল্টা দিয়ে দিল্লিতে মেঘালয়ের চার বিধায়ককে বিজেপিতে যোগদান করালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তার মধ্যে রয়েছে শাসক এনপিপি-র দুই বিধায়ক, তৃণমূলের ১ বিধায়ক এবং ১ নির্দল বিধায়ক।
জোটসঙ্গীকেও ভাঙল বিজেপি
মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে, তাদের মধ্যে আবার ১ জনকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। এনপিপিরও দুই বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়ে বিজেপি বুঝিয়ে দিল জোটসঙ্গীকেও ভাঙতে কসুর করবে না তারা। দু-মাস বাদে নির্বাচনে বিজেপি যে লড়াইয়ের পৃথক প্রস্তুতি নিচ্ছে তা এই দলবদলের মধ্যে বুঝিয়ে দিল।
দল ভাঙিয়ে ভিত শক্ত করার খেলা
তৃণমূল ও বিজেপি শুধু ভিন্ন দলকে ভাঙিয়েই নিজেদের ভিত শক্ত করার খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য দলকে ভেঙেই তারা বাহুবলী। এই অবস্থায় তৃণমূলের লড়াই যে খুব একটা সহজ হবে না, তা বলাই যায়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এখানে এবার চারদলীয় লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই শুধু কংগ্রেসকে ভেঙেই যে নিজেদের রাস্তা পরিষ্কার করতে পারবে তৃণমূল, সে গুড়ে বালি।
ত্রিপুরা ছেড়ে এখন মেঘালয়ে মন
তৃণমূল ভেবেছিল ত্রিপুরা অনেক শক্ত। কারণ সেখানে ক্ষমতা রয়েছে বিজেপি। আর প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় রয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেসও। তাই সেখানে নিজেদের জায়গা মজবুত করা অনেক কঠিন। অন্তত ত্রিপুরার উপনির্বাচন তৃণমূলকে সেই শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে। তাই ত্রিপুরা ছেড়ে এখন মেঘালয়ে মন দিয়েছিল তৃণমূল।
শুভেন্দু-দিলীপ দ্বৈরথের জের বঙ্গ বিজেপির বৈঠকে! স্থান বদলে উঠছে প্রশ্ন, জল্পনাও