রাজ্যসভা নির্বাচনে 'সমর্থন' সঙ্গীকে! মমতার জোট-এ জব্বর ধাক্কা মোদীর দলের
দিন কয়েক আগে তৃতীয় ফ্রন্ট নিয়ে কথা বলতে যে মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন নবান্নে, তাঁর সঙ্গে বিজেপির গোপন যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন। রাজ্যসভা ভোটে টিআরএস প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে উদ্যোগী স্বয়ং বিজেপি সভাপতি।
দিন কয়েক আগে তৃতীয় ফ্রন্ট নিয়ে কথা বলতে যে মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন নবান্নে, তাঁর সঙ্গে বিজেপির গোপন যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন। রাজ্যসভা ভোটে টিআরএস প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে উদ্যোগী স্বয়ং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ফলে তৃতীয় ফ্রন্টে টিআরএস আদৌ কতটা গ্রহণ যোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তেলেঙ্গানা থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে এদফায় ছিল তিনটি আসন। তিনটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল টিআরএস। ছিল বিরোধী প্রার্থীও। প্রার্থী ছিল কংগ্রেসেরও। কিন্তু টিআরএস প্রার্থীদের জয় মসৃণ করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বিজেপি নেতৃত্বের। তেলেঙ্গানার বিজেপি নেতৃত্বকে দলের তরফে আগে ভাগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভোটদানে বিরত থাকতে। সেই মতোই হল কাজ। নবান্নে মমতার সঙ্গে বৈঠক করে যাওয়া চন্দ্রচেখরের দলের প্রার্থীর জয়কে মসৃণ করতে আসর থেকে সরে দাঁড়ায় বিজেপি। ফলে সহজেই ৩ আসনে জয় পায় টিআরএস।
যেখানে উত্তরপ্রদেশে বিরোধীচদের কাছ থেকে এক আসন ছিনিয়ে নিতে বদ্ধ পরিকর ছিল বিজেপি, সেখানে তেলেঙ্গানা নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের এই আচরণে অন্য কিছু দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত বিরোধী শিবিরে ভাঙনের কৌশল নিয়েছে বিজেপি।
রাজনীতিগত ভাবে টিআরএস যতটা না বিজেপি বিরোধী তার থেকে বেশি কংগ্রেস বিরোধী। কিন্তু নবান্নে বৈঠক করে যাওয়া চন্দ্রশেখর রাও-এর অবস্থান নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠতে তখন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা পশ্চিমবঙ্গে তিনি কংগ্রেস প্রার্থীকে রাজ্যসভায় পাঠাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন। এক্ষেত্রে টিআরএস-এর সঙ্গে বৈঠক করে তৃণমূল নেত্রী ভূল পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
শুধু তাই নয়, তেলেঙ্গানায় টিআরএসকে সমর্থন করেছিল আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দলও।
যদিও, টিআরএসকে তলায় তলায় সমর্থন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের সাফাই তেলেঙ্গানায় তাদের মাত্র ৫ জন বিধায়ক আছেন।