বিজেপির বিরুদ্ধে বিজেপি, গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাসপেন্ড ১২ বিদ্রোহী
বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করছে বিজেপিরই বিদ্রোহীরা। বারবার চেতাবনী দেওয়া সত্ত্বেও বিজেপির বিদ্রোহীরা পিছু হটেননি। তাই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে কোন্দল চরমে উঠে গেলে।
বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করছে বিজেপিরই বিদ্রোহীরা। বারবার চেতাবনী দেওয়া সত্ত্বেও বিজেপির বিদ্রোহীরা পিছু হটেননি। তাই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে কোন্দল চরমে উঠে গেলে। আসন্ন গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট না পেয়ে বেশ কিছু নেতা বিদ্রোহী হয়েছেন। সেই সব বিদ্রোহী নেতাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
গুজরাত নির্বাচনে বিজেপির বিদ্রোহীরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এমন ১২ জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি। ১২ জন বিদ্রোহীর সবাই বিধানসভা নির্বাচনে টিকি চাইছিলেন। কিন্তু দল তাঁদের টিকিট দেয়নি। তাই তাঁরা বিদ্রোহ করে বসেন। এবং নির্দল হয়ে দলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়েন। রবিবার সাতজন বিদ্রোহীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এইবার দ্বিতীয় দফায় সাসপেন্ড করা হল বিদ্রোহীদের।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে গুজরাত নির্বাচনের আগে বিজেপি কড় পদক্ষেপ নিল দলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। নির্বাচনে টিকিট দেওয়া-সহ একাধিক বিষয়ে তাঁরা বিদ্রোহ করেছিল। বিজেপি এখন পর্যন্ত মোট ১৯ জন নেতাকে বরখাস্ত করেছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে। বিদ্রোহী বিধায়ক ও নেতাদের ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল। যে সমস্ত বিজেপি নেতাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছে পাদ্রার দিনুভাই প্যাটেল, ভাঘোদিয়া থেকে মধুভাই শ্রীবাস্তব এবং কুলদীপ সিং রাউল। তিনজনই ভদোদরা জেলার নেতা। পঞ্চমহল দেলাপর শাহেরার বি পাগি, আরাবল্লী জেলার ধওয়াল সিং ঝালা এবং মেহসানার রাম সিং ঠাকুরকেও সাসপেন্ট করা হয়েছে।
এছাড়া আন্, বনাসকাঁথা ও মহিসাগর জেলা থেকে দু-জন করে নেতাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মানজিভাই দেশাই ও এল ঠাকুর বনাসকাঁথা থেকে, এসএম বান্ত ও জেপি প্যাটেল মহিসাগর থেকে এবং রমেশ ঝালা ও অমরিশ ভাই ঝালাকে আনন্দ জেলা ছেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিজেপি এবার গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাতে সপ্তম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য ৪২ জন বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হয়নি। ১৬০ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে। তখন ৩৮ জন বর্তমান বিধায়ককে বাদ দেওয়া হয়েছে। পরে শাসক দল বাকি বিধানসভা আসনগুলির জন্য আরও তিনটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি, প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল এবং দলের প্রধান পাটিল-সহ বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ২০১৭ সালের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২টি আসনের মধ্যে ৯৯টি আসনে জিতে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। ২৭ বছর ধরে তারা ক্ষমতায় রয়েছে এই রাজ্যে।