বিজেপির কাছে 'ক্ষমতা' সেবার মাধ্যম, করোনার সময়ে দলীয় কর্মীদের রিপোর্টকার্ডের মূল্যায়ন মোদীর
করোনার সময়ে দেশ জুড়ে বিজেপি কর্মীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণকে সাহায্য করার ব্রত গ্রহণ করে। গরিব ও চাহিদা সম্পন্ন মানুষকে এই সময়কালে কীভাবে বিজেপি কর্মীরা সাহায্য করেছে সেই বিষয়ে এদিন রিপোর্টকার্ড পেশ করে সাতটি রাজ্য। সেই রাজ্যের কর্মীদের কাজের মূল্যায়ণ করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশজুড়ে বিজেপি কর্মীদের কাজের প্রশংসা মোদীর
এই মূল্যায়ণের সময়ই দেশজুড়ে বিজেপি কর্মীদের কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মোদী। বিশেষ করে রাজস্থান ও বিহারের কর্মীদের কাজের প্রশংসা শোনা যায় তাঁর গলায়। আর এই সময়ই তিনি দলীয় কর্মীদের ফের একবার মনে করিয়ে দেন যে বিজেপির কাছে ক্ষমতা হল সাধারণ জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম। এদিন তিনি কর্মীদের বলেন যে মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতেই জনসংঘ ও বিজেপি তৈরি হয়েছিল।
বিজেপি কর্মীরা নিজেদের সামর্থের থেকে বেশি কাজ করেছে
এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মোদী বলেন, 'বিজেপি কর্মীরা নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে গিয়েছে। আপনারা সবাই নিজেদের সামর্থের থেকে বেশি কাজ করার চেষ্টা করেছেন। এই মহামারীকে আপনারা সুযোগে পরিণত করেছে। আমি সব বিজেপি কর্মীদের জন্য গর্বিত। এই কর্মযজ্ঞ ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়াবে।'
নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে মোদী বলেন...
এরপর তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে আরও বলেন, 'দলের সংগঠন নির্বাচনের অনেক উর্ধ্বে। আমাদের সব সময় সেবা করে যেতে হবে। আমাদের সংগঠন টিকে আছে মানুষের সেবার লক্ষ্যে। ভারতকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে হবে। আমাদের সংগঠনের অর্থ, সবার সুখ। করোনা যুদ্ধে এই লড়াইকে আমার কুর্নিশ।'
মানব ইতিহাসে সব থেকে বড় সেবা যজ্ঞ
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, এটা মানব ইতিহাসে সব থেকে বড় সেবা যজ্ঞ। বিহারে বিজেপি কর্মীদের কাজের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সবাই বলছে যে পূর্ব ভারতে বেশি সংখ্যক গরিব। তবে বিহারের বিজেপি কর্মীদের কাজে সেখানে করোনা অতটা ছড়াতে পারেনি। আমি তাই আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।' উল্লেখ্য বিহারের এই প্রশংসার নেপথ্যে আসন্ন নির্বাচনও রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
করোনা কালে বিজেপির কাজের খতিয়ান
করোনা মহামারীকালে বিজেপির তরফে এই কাজের প্রশংসা করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। এদিন তিনি বলেন, 'করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কোনও নজির এই বিশ্বে নেই। করোনা সময়ে আরও এক সমস্যা ছিল যে লকডাউনের পর গরিব মানুষের কী হবে। করোনা সময়ে ডিজিটাল টুলের ব্যবহারে আপনার দেখানো পথে আমরা সারা দেশের বুথ পর্যায়ে পর্যন্ত মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছি। লকডাউনের সময়ে ৪৫০০ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আড়াই লক্ষ বিজেপি কার্যকর্তাদের সঙ্গে যোগ স্থাপন করেছি। বিজেপি কর্মীরা ৫ কোটি ফেস কভার তৈরি করেছে লকডাউনের সময়। কয়েক কোটি বিজেপি কর্মীরা ক্ষুধআর্তদের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছে। ২২ কোটি প্যাকেজ দিয়েছে। ৫ কোটি রেশন প্যাকেজ দিয়েছে কর্মীরা।'
চিনের 'কাশ্মীর প্ল্যান'-এর জেরে হুরিয়তে চিড়! আইএসআই-বেজিং জোটের 'ড্রিম প্রোজেক্টে' ধাক্কা?