'রিস্তে মে তো হাম তুমহারে বাপ লগতে হ্যায়, নাম হ্যায় অমিত শাহ', বিজেপি মুখপাত্রের টুইটে তোলপাড়
এবার অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তুলনা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। আজ মহারাষ্ট্রে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পরেই এর কৃতিত্ব অমিত শাহকে দেন অনেক বিজেপি নেতা। সেই রেশ টেনেই আজ বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া অমিত শাহর ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে অমিতাভ অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা শাহেনশাহর সংলাপের অনুকরণে লেখেন, "রিস্তে মে তো হাম তুমহারে বাপ লগতে হ্যায়, নাম হ্যায় অমিত শাহ।"
সকালে বদলে যায় সব সমীকরণ
গতকাল রাত পর্যন্ত সবাই জানত যে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস, এনসিপির সমর্থনে সরকার গঠন করতে চলেছে শিবসেনা। তবে হঠাৎ আজ সমীকরণ বদলে যায়। আজ ভোর ৫টা ৪৭ মিনিটে মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয়। এরপরই সকাল ৮টার সময় দ্বিতী.বার মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর হিসাবে শপথ নেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের ভাইপো তথা বিধানসভায় এনসিপির পরিষদীয় দলনেতা অজিত পাওয়ার।
দেবেন্দ্রকে অভিনন্দন জানান অমিত শাহ
এই ঘটনার পর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ারের উদ্দেশ্যে টুইট করেন বিজেপি-র সর্বভারতী সভাপতি। এক টুইট বার্তায় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ারকে অভিনন্দন জানিয়ে অমিত শাহ লেখেন, "আমি দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ারকে মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি যে এই সরকার মহারাষ্ট্রের উন্নয়ন, কল্যাণ ও বিকাশের জন্য নিরন্তন প্রচেষ্টা করবে এবং এই ক্ষেত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে। এরা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য এক আলাদা মাপদন্ড স্থাপন করবে।"
শরদ পাওয়ারের টুইট
এরই মাঝে শরদ পাওয়ার টুইট করেন, "মহারাষ্ট্র সরকার গঠনে বিজেপিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নয়। আমরা জানাচ্ছি যে আমরা তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করিনি বা সমর্থন করি না।"
শুরু হয় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ
এদিকে এই বিষয়ে শিবসেনা অভিযোগ এনে বলেছে, অজিত পওয়ার পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন সবাইকে। একই অভিযোগ এনেছেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক। ৩০ তারিখের মধ্যে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ফড়ণবীশকে। নবাবের দাবি সেই সংখ্যা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হবে বিজেপি-অজিত জোট। যদিও বিজেপির দাবি, নির্দল বিধায়ক সহ তাদের সঙ্গে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। পাশাপাশি ফড়নবিশের শপথ গ্রহণের পর শিবসেনাকে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।