লাদাখ ইস্যুতে চিনকে সমর্থন জানাচ্ছেন ফারুক আবদুল্লা! ৩৭০ ধারা নিয়ে বিজেপির পাল্টা আক্রমণ
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার জেরেই লাদাখ সীমান্তের এই পরিস্থিতি। রবিবার এমনই মন্তব্য করেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা। এদিন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'উপত্যকায় ফের ৩৭০ ধারা লাগু করা হবে।' এবং আবদুল্লার এহেন মন্তব্যের পরই বিজেপি পাল্টা আক্রমণ করল শ্রীনগরের সাংসদকে। এবিষয়ে এদিন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র আবদুল্লাকে আক্রমণ করে বলেন তিনি বকলমে চিনকে সমর্থন জানাচ্ছে লাদাখ ইস্যুতে।

লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় সীমানায় বার বার চিনা সেনারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। লাদাখ সীমান্তের এই পরিস্থিতির জন্য ৩৭০ ধারা বাতিলকে দায়ী করলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করার জন্যই লাদাখ সীমান্তে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিন কখনওই ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেওয়া মেনে নিতে পারেনি। আমি আশা করি তাঁদের সহযোগীতায় উপত্যকায় আবার ৩৭০ ধারা লাগু করা হবে।'

নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করেন আবদুল্লা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে আবদুল্লা বলেন যে, 'আমি কখনওই চিনের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানাইনি। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এমনকি তাঁকে চেন্নাইয়ে নিয়ে গিয়েও তিনি একসঙ্গে খাবারও খেয়েছেন।' এদিন ৩৭০ ধারা বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, '২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট আচমকাই ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা কখনওই আমরা আশা করিনি।'

৩৭০ ধারা নিয়ে অসন্তোষ
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ অগাস্ট কাশ্মীরে বাতিল করা হয় সংবিধানের ৩৭০ধারা। এর ফলে জম্মু-কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা হারায় ওকে। এই ধারা বাতিলের পরেই প্রতিবাদ করেন ফারুক আবদুল্লা, তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। এরপরেই তাঁদের গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
