আফজল গুরুর দেহ ফিরিয়ে আনার দাবি পিডিপির, সমালোচনায় মুখর বিজেপি
নয়াদিল্লি, ৩ মার্চ : শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী দেশ, হুরিয়ত ও জঙ্গি সংগঠনগুলির স্তুতি করেই ক্ষান্ত হল না পিডিপি। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আরও এক বিতর্কের আমদানি করল পিডিপি।
এবার একসময়ের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি আফজল গুরুর দেহাবশেষ কাশ্মীরে ফিরিয়ে আনার দাবি তুললেন পিডিপি নেতারা। একইসঙ্গে জোটসঙ্গী বিজেপির অস্বস্তিও কয়েকগুণ বেড়ে গেল এই মন্তব্যে।
রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন পিডিপি পেট্রন মুফতি মহম্মদ সঈদ। উপত্যকায় শান্তিপূর্ণ ভোটের কৃতিত্ব পাকিস্তান, হুরিয়ত এবং জঙ্গিদের দিয়ে সবার প্রথম জোট শরিক বিজেপির অস্বস্তি বাড়ান তিনি। এরপর সোমবার ৯ জন পিডিপি নেতার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আফজল গুরুর ফাঁসি বিচারের নামে প্রহসন এবং এক্ষেত্রে সংবিধানও মানা হয়নি বলে দাবি তাঁদের। পাশাপাশি কাশ্মীরে তার পরিবারের হাতে দেহাবশেষ তুলে দেওয়ার দাবি থেকেও পিডিপি সরছে না বলেও জানান তাঁরা।
পিডিপি নেতা ও জম্মু ও কাশ্মীর মন্ত্রিসভার সদস্য নঈম আখতারের দাবি সম্বলিত একটি চিঠি বিরোধী দল আওয়ামি ইথাদ পার্টির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার রশিদ পড়ে শোনান সেখানে আরও ৮ জন পিডিপি নেতার সাক্ষ্য ছিল যেখানে তাঁরা আফজল গুরুর দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
সোমবার কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে উত্তাল হয় সংসদ। বিজেপির অবস্থান জানতে চেয়ে বিরোধীরা সরব হন। তখন বিজেপি ও সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্ট জানান, কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে সরকার কোনওভাবেই একমত নয়।
এদিনও পিডিপি নেতাদের বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে আসার পর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম হয় না, স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পিডিপি নেতৃত্বকে।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সংসদ হামলার দায়ে ২০১৩-র ফেব্রুয়ারিতে তিহার জেলে আফজল গুরুর ফাঁসি হয়।