রাহুল কি দেশে সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছেন! সিধুর পাক-যাত্রায় এবার তির বিজেপির
বিজেপির প্রশ্ন, রাহুল গান্ধী কি সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছেন? সিধু কেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করল, তার জবাব দিতে হবে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে।
প্রাক্তন ক্রিকেটার বর্তমান কংগ্রেস মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধুর পাকিস্তান যাত্রা নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি। বিজেপির প্রশ্ন, রাহুল গান্ধী কি সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছেন? সিধু কেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করল, তার জবাব দিতে হবে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ভারতীয়রা সিধুর পাকিস্তান সফরকে মেনে নিতে পারছেন না। আরও মেনে নিতে পারছেন না পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করার বিষয়টি। কংগ্রেস এই ঘটনাকে যেভাবে ব্যাখ্যা করছে, তাতে মনে হচ্ছে রাহুল গান্ধী দেশে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করছেন।
তাই সিধুর পাকিস্তান যাত্রা নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে রাহুল গান্ধীকেই। পাকিস্তানে ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে যা যা ঘটিয়েছেন সিধু, তার জন্য সিধুর লজ্জা পাওয়া উচিত। বিজেপির মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আগে কংগ্রেসের উচিত ভারতের মানুষের কাছে বিশেষ করে শহিদদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করা।
এদিন নভজ্যোত সিং সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানে গিয়ে নওয়াজ শরিফকে জড়িয়ে ধরলে দোষ হয় না। তখন কেউ প্রশ্ন করেন না। আর সৌজন্য দেখিয়ে আমি সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করেছি বলে সমালোচনার ঝড় তোলা হচ্ছে কেন? শুধু মোদী নন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সদ্যপ্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীও লাহোর বাসযাত্রা করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: 'শান্তির দূত' সিধুর পাশেই 'বন্ধু' ইমরান! আলিঙ্গন-বিতর্ক উসকে মোদীকে বিশেষ বার্তা ]
তারপর আমি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পাকিস্তানে যাইনি। যাইনি কংগ্রেসের মন্ত্রী হিসেবেও। আমি গিয়েছি একান্ত ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে। আমি আমার পুরনো বন্ধুর ডাকে সাড়া গিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর শপথগ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলাম। একজন ভারতীয় হিসেবে সৌজন্য রক্ষায় যা করণীয় তা-ই করেছি। আমি কোনও ভুল করিনি।
[আরও পড়ুুন: সাক্ষাৎ মৃত্যুমুখ থেকে ফিরলেন ওঁরা, ঘরে ফেরানোর যাবতীয় বন্দোবস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী]
এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি মুখপাত্র বলেন, সিধুর ব্যাখ্যা নয়, রাহুলকে এর জবাবদিহি করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস পাকিস্তানের সঙ্গে জোট পাকিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। যদিও রাহুল গান্ধী কোনও বিবৃতি না দিলেও পাকিস্তান সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন প্রসঙ্গে মুখ খোলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমিরিন্দর সিং। তিনি ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়াকে স্বাগতই জানান। তবে তার পরবর্তী ঘটনাকে সমর্থন করেননি। এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত পদক্ষেপ, এর সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই বলে জানান ক্যাপ্টেন।
[আরও পড়ুন:লোকসভার চাবিকাঠি মমতা-মায়াবতীদের হাতে! জোট না হলে কী হবে ফল, দেখাল সমীক্ষা]