জেল থেকে এনডিএ বিধায়কদের ফোন! গেরুয়া শিবিরে চিড় ধরিয়ে কোন ফন্দি আঁটছেন লালু?
বিহার নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন তেজস্বী যাদব দাবি করেছিলেন যে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের আগেই জেল থেকে মুক্তি পাবেন লালুপ্রসাদ যাদব। তবে আশা মতো নির্বাচনে জিততে পারেননি তেজস্বী যাদব। এদিকে জেল থেকে মুক্তি পাননি লালুপ্রসাদও। এই পরিস্থিতিতে বিহার রাজনীতিতে নতুন সূর্যের মতো উদয় হয়েছে বিজেপির। এই অবস্থায় রাঁচির জেলে বসেই নতুন কৌশল নিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব।

সুশীল কুমার মোদীর অভিযোগ
বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সুশীল কুমার মোদীর অভিযোগ, জেল থেকেই এনডিএ বিধায়কদের ফোন করছেন লালুপ্রসাদ। এনডিএ বিধায়কদের ফোন করে নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বিধায়কদের নিজের দল আরজেডিতে টানার চেষ্টা করছেন লালু।

বিধায়কদের নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন লালু
এদিকে লালুপ্রসাদের এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সুশীল মোদী। একটি টুইটে সুশীল লেখেন, 'রাঁচি থেকে এনডিএ বিধায়কদের ফোন করছেন লালুপ্রসাদ যাদব। ফোনে বিধায়কদের নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আমি যখন ওই নম্বরে ফোন করলাম। তখন সরাসরি ফোন ধরলেন লালু। তখন আমি বললাম, জেলে বসে নোংরা কৌশল নেবেন না। আপনি কোনও ভাবেই সফল হবেন না।'

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত লালু
এর আগে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে তাঁর বিরুদ্ধে চাইবাসা কোষাগার মামলায় জামিন পেয়েছিলেন লালুপ্রসাদ। তবে আরও একাধিক মামলায় এখনও মুক্তি মেলেনি। তাই হাজতেই থাকতে হচ্ছে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দুমকা কোষাগার মামলায় এখনও নিস্তার মেলেনি লালুর।

হাসপাতালে লালুর 'দরবার'
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিজেপির তরফে হাসপাতালে লালুর 'দরবার' নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। চারটি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষীসাব্যস্ত হন লালুপ্রসাদ যাদব। তাঁর ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়। যদিও এর মাঝে দীর্ঘ সময় ধরে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

সিবিআই আদালত লালুকে দোষীসাব্যস্ত করে
১৯৯২-৯৩ সালে অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ। সেইসময় চাইবাসা জেলার সরকারি কোষাগার থেকে ৩৩.৬৭ কোটি টাকা পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৮-র জানুয়ারিতে রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত লালুকে দোষীসাব্যস্ত করে। পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় শোনায় আদালত। পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ফের হবে সার্জিকাল স্ট্রাইক! 'পাকিস্তানি ও রোহিঙ্গা' ইস্যুতে আরও উত্তপ্ত হায়দরাবাদ