বিজেপি এবার একাই একশো! রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে থোড়াই কেয়ার বিরোধীদের
বিজেপি এবার একাই একশো! রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে থোড়াই কেয়ার বিরোধীদের
২০১৯ সালের মে মাসে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন। তারপর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বেশ কয়েকটি বিতর্কমূলক আইন পাস করেছে। ৩৭০ ধারা বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইন আনা হয়েছে। কিন্তু এই বিল পাস করতে গিয়ে রাজ্যসভায় বারবার কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুখে পড়তে হয়েছে। এবার রাজ্যসভায় সংখ্যগরিষ্ঠতার কাছে পৌঁছে যাবে বিজেপি।
একাই একশো বিজেপি!
এবারও লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি। একাই তিন শতাধিক আসন পেয়েছে তারা। কিন্তু রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। এবার রাজ্যসভা ভোটের পর সেই ছবির পরিবর্তন হবে। বিজেপি তাঁকে সাংসদের সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে নিতে সমর্থ হবে।
লোকসভায় ৩০০, রাজ্যসভায় ১০০!
৪৫৩ সদস্যের লোকসভায় বিজেপির একাই তিন শতাধিক সদস্য রয়েছে। সংসদের উচ্চসভায় তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৮২। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২০ জন সাংসদ। রাজ্যসভার বর্তমানে ২৩৯ সদস্য রয়েছেন। বিজেপির বর্তমান শরিক এআইএডিএমকে, জেডিইউ, এসএডি, এজিপি, বিপিএফ, এলজেপি, আরপিআই (এ) এবং এসডিএফ-এর মিলিত সদস্য সংখ্যা ২৫। রাজ্যসভায় এনডিএ-র সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১০৭।
কৌশলগত সমর্থন আর না
তারপরেও বিজেডি, শিবসেনা, ওয়াইএসআরসিপি, টিআরএস এবং এনপিএফের কৌশলগত সমর্থন আদায় করে বিজেপি ফায়দা তুলে নিত। কিন্তু আসন্ন রাজ্যসভা ভোটের পর তাদের আর সেই কৌশলগত সমর্থন আদায়ের প্রয়োজন হবে না। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
ছ-টি রাজ্যে হার সত্ত্বেও
বিজেপি হয়তো সংখ্যাগরিষ্ঠই হয়ে যেত রাজ্যসভায়। কিন্তু ২০১৯-এর ডিসেম্বর থেকে ২০২০-র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছ-টি রাজ্যে হার তাঁদের পিছিয়ে দিয়েছে খানিকটা। সাতটি রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে এই সময়ে। তার মধ্যে ছটি রাজ্যে হারতে হয়েছে। একটি রাজ্যে কোনওরকমে ক্ষমতা ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে বিজেপি। ফলে রাজ্যসভায় যে পরিমাণ শক্তি বাড়াতে পারত, তা সম্ভব হচ্ছে না আপাতত।
১৫ জন নতুন সদস্য পাবে বিজেপি
এ বছরের শেষের দিকে ১৫ জন নতুন সদস্য পাবে বিজেপি। ফলে রাজ্যসভায় তাদের শক্তি হবে ৯৭। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি এবং তার শরিকদল প্রায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলবে। এমতাবস্থায় এনডিএ-র বাইরের কোনও দলের সমর্থন আদায় করার প্রয়োজন হবে না। ফলে বিল পাস করার ক্ষেত্রে আর পরের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।