
কৃষক আন্দোলনে জেরবার কেন্দ্র! বিরোধীদের 'ভণ্ডামি'র মুখোশ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গা দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে দেশের ১৬টি অ-বিজেপি রাজনৈতিক দল। সেই মতো এদিন কৃষকদের ডাকা বনধকেও সমর্থন করে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। তবে কৃষি আইনের বিরোধিতা করা রাজনৈতিক দলগুলিকে এবার আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর। এধিন তিনি বিরোধীদের 'ভণ্ড' বলে আখ্যা দেন।

যারা এই আইনগুলি ফিরিয়ে নিতে বলছে তারা ভণ্ডামি করছে
এদিন প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, 'বিরোধী পক্ষ, যারা এই আইনগুলি ফিরিয়ে নিতে বলছে তারা ভণ্ডামি করছে। কারণ তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন 'চুক্তি ফার্মিং' আইনটি পাস হয়েছিল। কংগ্রেস তাদের ইশতেহারেও এই আইনগুলির প্রবর্তনের কথা উল্লেখ করেছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা বিরোধীদের পুরোনো অভ্যাস।'

শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে এই বিরোধিতা
এদিন তিনি আরও বলেন, 'কৃষকরা ব্যয়ের অতিরিক্ত পারিশ্রমিক মূল্যের দাবি করেছিলেন এবং আমরা তাদের ব্যয়ের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি দিচ্ছি। কংগ্রেস তাদের আমলে কখনও কিছু দেয়নি কৃষকদের। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদেরকে এটা দিচ্ছেন। কিন্তু এটার বিরোধিতা করছে বিরোধীরা। এনসিপি, অকালি দল, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি রাজনৈতিক কারণে এই কাজ করছে।'

ভারত বনধের সমর্থনে বিহার-ঝাড়খণ্ডে বিক্ষোভ
এদিকে এদিন ভারত বনধের সমর্থনে ও কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাঁচিতে মিছিল বের করেন আন্দোলকারীরা। এদিকে কৃষি আইনের বিরোধিতায় বিহারে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কর্মীরা। এদিন ৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবোরধ করেব কৃষকরা। এই অবরোধের প্রস্তুতি কৃষকরা শুরু করে দিয়েছিলেন এদিন ভোর থেকেই। এদিকে অভিযোগ ওঠে, সিঙ্ঘু সীমান্তে বিক্ষোভ চলাকালীন মৃত্যু হয় এক কৃষকের।

ভারত বনধের মিশ্র প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে
এদিকে কৃষক সংগঠনের ডাকা ভারত বনধের মিশ্র প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে। যাদবপুর, ধর্মতলা, হাওড়া থেকে শুরু করে রাজ্যের নানা প্রান্তে বনধের প্রভাব চোখে পড়েছে। যাদবপুর ৮বি স্ট্যান্ডের পাশাপাশি রেল অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। রেল অবরোধ হয় কাঁচড়াপাড়া, বালুরঘাট, হাওড়া, উলুবেড়িয়া-সহ একাধিক জায়গায়। বাম সংগঠনের প্রতিনিধিরা সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পতাকা হাতে অবরোধ করেন।

বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে জঙ্গলমহলে
এদিন বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে জঙ্গলমহলে। মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কয়েকটি দোকানপাট বন্ধ ছাড়া প্রায় সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। এদিকে মুর্শিদাবাদে বনধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। রাস্তায় সরকারি বাস নামতে দেখা গেছে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পণ্য পরিবহন কার্যত স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে শিয়ালদা-লালগোলা শাখায় ট্রেন চলাচলও সকাল থেকে স্বাভাবিক রয়েছে।