দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রস্তাব ও আলোচনার সম্ভাবনা
রবিবার থেকে দিল্লিতে বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির (National Executive) বৈঠক বসছে। একদিকে যেমন জাতীয় কর্মসমিতি নতুন করে গঠন করা হয়েছে, অন্যদিকে, ২০১৯-এর পর থেকে এই প্রথমবার উপনির্বাচনে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে। এছ
রবিবার থেকে দিল্লিতে বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির (National Executive) বৈঠক বসছে। একদিকে যেমন জাতীয় কর্মসমিতি নতুন করে গঠন করা হয়েছে, অন্যদিকে, ২০১৯-এর পর থেকে এই প্রথমবার উপনির্বাচনে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে। এছাড়াও সমমনে রয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। সেই দিক থেকে বিজেপির এই বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
শনিবার বসছে সাধরণ সম্পাদকদের বৈঠক
রবিবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে শনিবার দিল্লিতে বিজেপির সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠক বসছে। এই বৈঠকে রবিবারের বৈঠকের সম্ভাব্য প্রস্তাব এবং চরিত্র নিয়ে আলোচনা হবে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৈঠকে সামনের বছরে রাজ্য বিধানসভাগুলির নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যত পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হবে।
হাজির থাকবেন জেপি নাড্ডা, নরেন্দ্র মোদী
এই
কর্মসমিতির
বৈঠকের
শুরুতে
ভাষণ
দেবেন
বিজেপির
সর্বভারতীয়
সভাপতি
জেপি
নাড্ডা।
অন্যদিকে
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদী
বৈঠকে
সমাপ্তির
ভাষণ
দেবেন।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
বৈঠকে
দেশে
১০০
কোটি
টিকাকরণের
জন্য
প্রধানমন্ত্রী
মোদীর
প্রশংসা
করে
প্রস্তাব
নেওয়া
হতে
পারে।
পাশাপাশি
জ্বালানির
শুল্ক
হ্রাস
এবং
প্রধানমন্ত্রীর
সাম্প্রতিক
বিদেশ
সফর
নিয়েও
প্রস্তাব
গ্রহণ
করা
হতে
পারে।
গত
মাসেই
বিজেপির
জাতীয়
কর্মসমিতি
নতুন
করে
গঠন
করা
হয়েছে।
সেখানে
৮০
জনকে
রাখা
হয়েছে।
বিশেষ
আমন্ত্রিত
হিসেবে
৫০
জন
এবং
স্থায়ী
আমন্ত্রিত
হিসেবে
১৭৯
জনকে
রাখা
হয়েছে।
ভিন্ন রাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি থাকবেন নেতারা
বিজেপির রাজ্যসভা সদস্য এবং দলের মিডিয়া সেলের প্রধান অনিল বালুনি বলেছেন, নয়াদিল্লির এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে এই বৈঠক হবে সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত। করোনা পরিস্থিতির কারণে কনভেনশন সেন্টারে যেমন নেতারা থাকবেন, অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্য থেকেও ভার্চুয়ালি নেতারা উপস্থিত থাকবেন এই বৈঠকে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা সবাই দিল্লি থেকে সভায় উপস্থিত থাকবেন। অন্যদিকে রাজ্যের নেতারা থাকবেন নির্দিষ্ট রাজ্য রাজধানী থেকে।
উপনির্বাচনে ধাক্কা বিজেপির
৩০ অক্টোবরের উপনির্বাচনে বিজেপি হিমাচল প্রদেশে একটি লোকসভা এবং তিনটি বিধানসভার আসন হারিয়েছে হিমালয় প্রদেশে। ওই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। অন্যদিকে কর্নাটকের নিজের এলাকায় আসন হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। রাজস্থানে সুবিধা করতে পারেনি। তবে মধ্যপ্রদেশে শক্তি ধরে রাখার পাশাপাশি তেলেঙ্গানায় শক্তি বাড়িয়েছে তারা।
আগামী বছরের শুরুর দিকে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মনিপুর, গোয়ায় ভোট। অন্যদিকে একইসঙ্গে ভোট হওয়ার কথা কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবে। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশে।
Daily News Update: আরও নামল তাপমাত্রা, দিল্লি যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ