সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক টুইট করায় দিল্লির বিজেপি প্রার্থীর উপর নিষেধাজ্ঞা, করতে পারবেন না প্রচার
৪৮ ঘণ্টার জন্যে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না বিজেপির কপিল মিশ্র। নিষেধাজ্ঞা জারি করল দিল্লির নির্বাচন কমিশন। এর আগে শাহীনবাগ নিয়ে বিতর্কিত টুইট করে নির্বাচন কমিশনের কোপের মুখে পড়েছিলেন দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির এই প্রার্থী। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে 'ভারত বনাম পাক' টুইট নিয়ে একটি মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন
সম্প্রতী, মডেল টাউন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়া বিজেপি নেতা কপিল টুইট করে দিল্লির নির্বাচনকে ভারত বনাম পাকিস্তান যুদ্ধ বলে আখ্যা দেন। এর জেরে নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে। নির্বাচন কমিশনের এই নোটিশে বলা হলা হয়, আদর্শ আচরণবিধির ১(১) ধারা অনুযায়ী কোনও প্রার্থী বা দল এমন কোনও মন্তব্য করতে পারে না যার ফলে ভিন্ন জাত, সম্প্রদায়,ধর্ম ও ভাষার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
আম আদমি পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন কপিল
আম আদমি পার্টির ছাড়ার আগে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের মন্ত্রী ছিলেন কপিল মিশ্র। তবে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কপিল মিশ্র দাবি করেন, দিল্লিতে 'মিনি-পাকিস্তান' তৈরি হচ্ছে এবং অভিযোগ করা হয়েছে সেই 'পাকিস্তানি দাঙ্গাবাজরা' রাস্তা দখল করছে। আমরাও তৈরি আছি। দেখা যাবে ভাত-পাকিস্তানের সেই লড়াইয়ে কে জেতে। মডেল টাউনের রিটার্নিং অফিসার তাঁকে তাঁর টুইটগুলির জন্য শো-কজ নোটিশ পাঠান।
উস্কানিমূলক টুইট করায় কপিলের বিরুদ্ধে মামলা
কপিল মিশ্রের পাঠানো নোটিশের জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন তাঁর উপর ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করে জানিয়ে দেয় যে আগামী দুই দিন কোনও ধরনের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেনম না এই বিজেপি নেতা। নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক টুইট করার জন্যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়েছে।