উত্তরের রাজ্যে কংগ্রেসের কাছে ধরাশায়ী বিজেপি, বাইশের আগে চিন্তা বাড়ছে মোদী-শাহের
২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিজেপি শাসিত হিমাচল প্রদেশে। তার আগেই ২০২১ সালে সেরাজ্যে বড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। সেরাজ্যের চারটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যার মধ্যে মাত্র একটিতে জিততে সমর্থ হয় বিজেপি। তাদের গড় হিসেবে পরিচিত সোলান ও পালমপুরে কংগ্রেসের কাছে হারতে হয় বিজেপিকে। এই পরিস্থিতিতে ২০২২-এর আগে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
নিজেদের গড়ে ধরাসায়ী বিজেপি
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা শান্তাকুমারের এলাকা পালমপুরে কংগ্রেসের কাছে ধরাসায়ী হতে হয় গেরুয়া শিবিরকে। পালামপুরের মোট ১৫ আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে আসে মাত্র দু'টি। এদিকে সোলানে বিজেপির তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেরাজ্যে বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাজীব বিন্দালকে। কিন্তু তিনি এখানে বিজেপিকে জেতাতে পারেননি। সোলানের ২৫ আসনের মধ্যে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ১৭ আসনে, বিজেপি পেয়েছে ৭ আসন।
বিক্ষুব্ধদের উপর নির্ভরশীল বিজেপি
এদিকে ধর্মশালাতে জিতলেও, চিন্তা বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। ধর্মশলাতে বিজেপি জিতেছে ঠিকই, তবে সেখানে তারা নির্দলের উপর নির্ভরশীল। এই পুরসভায় বিজেপি জয়ী হয়েছে ৮ আসনে। কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ৫ আসনে। ৪টি আসন গেছে নির্দলদের দখলে। এই ৪ নির্দলের প্রত্যেকেই বিক্ষুব্ধ বিজেপি। একমাত্র মান্ডিতে বিজেপি একক ভাবে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
সামনেই বাইশের পরীক্ষা
এদিকে হিমাচলপ্রদেশের বিজেপি সরকার যে ২০২২ সালে একটি কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে চলেছে, তা পরিষ্কার এই ফলাফলে। হিমাচলপ্রদেশের জয়রাম ঠাকুরের সরকার তাদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্যে পরিচিত। তবে সেই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়েও যদি কংগ্রেসের কাছে বিজেপিকে ধরাসায়ী হতে হয়, তাহলে উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ নিয়ে বিজেপির চিন্তা আরও বাড়তে পারে।
বাজে ফলের কারণ কী?
এদিকে এই হারের কারণ হিসেবে বিজেপি দলীয় কোন্দলকে দেখছে। অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে বিজেপির বহু নেতা নির্দল হিসেবে লড়ে দলকে জখম করেছে। দলের এক নেতা এই ফলাফলের প্রেক্ষিতে বলেন, 'এই নির্বাচনে নির্দল হিসেবে জেতা ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রার্থী বিজেপি থেকে বিক্ষুব্ধ হওয়া নেতা। এছাড়া সাধারণ মানুষের মনে এলপিজি এবং জ্বালানির দাম বৃদ্ধির একটি প্রভাব পড়েছে বলে আমাদের মনে হয়।' যা পরিস্থিতি, তাতে ঘুরে না দাঁড়াতে পারলে ২০২২-এ এই রাজ্য বিজেপি ধরে রাখতে নাও পারে।