দিল্লি নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে অমিত শাহের বাড়িতে ৭ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে বিজেপি নেতারা
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রূপরেখা ঠিক করতে ও প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভাবরতীয় সভাপতি অমিত শাহের বাড়িতে দীর্ঘ সাত ঘণ্টার বৈঠকে বসে দল। এই ম্যারাথন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা, দিল্লির দায়িত্বে থাকা প্রকাশ জাভরেকর, শ্যাম জাজু, মনোজ তিওয়ারি, বিজয় গয়াল, বিজেন্দর গুপ্তা, অনিল জৈন।
১৫ সদস্যের কমিটি গঠন
এর আগে দিল্লি নির্বাচনের জন্যে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিজেপি। কমিটিতে দিল্লি বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ মনোজ তিওয়ারি সহ এনিল জৈন, আরপি সিং, দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বিজয় গয়াল, দুষ্মন্ত গৌতম, সতীশ উপাধ্যায়, দিল্লি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পুনম ঝা ও বিজেন্দর গুপ্তা।
৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দিল্লি নির্বাচন
৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। তার পর ১১ তারিখ হবে ফল প্রকাশ। এদিকে লোকসভার পর একের পর এক বিধানসভা নির্বাচন হেরে দিল্লির লড়াই রীতিমতো প্রেস্টিজ ফাইটে পরিণত হয়েছে বিজেপির জন্যে। এদিকে বিজেপি ছাড়াও ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস।
তিনমুখী লড়াই
খাতায় কলমে তিনমুখী লড়াই হলেও দিল্লির নির্বাচন এখন মূলত আম আদমি পার্টি বনাম বিজেপি। মাঝে আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট বাধতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত আলোচনা ফলপ্রসু না হওয়ায় পিছনে হটে কংগ্রেস। ২০১৫ সালে ৭০টির মধ্যে ৬৭টি আসনই জিতেছিল আম আদমি পার্টি। এদিকে দিল্লির তিনটি মিউনিসিপাল ক্রপোরেশন রয়েছে বিজেপির দখলে। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭টির মধ্যে ৭টি আসনেই জিতেছিল বিজেপি। সেই অর্থে কংগ্রেস ভোট কাটলেও ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সম্মানের লড়াই
লোকসভা পরবর্তী মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির ক্ষেত্রে এই ভোট ধরে রাখা এক বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যার জেরে এই উপরের উলেক্ষিত রাজ্যগুলির দুটিতেই তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে অক্ষম হয়। হরিয়ানাতেও তাদের দুষ্মন্ত চৌতালার জেজেপি-র সঙ্গে জোট বেধে সরকার গড়তে হয়।