বিজেপির ব্রাহ্মণ মুখ শর্মা প্রার্থী হচ্ছেন লখনউ-এ, দলিত মুখ মৌর্য লড়বেন সিরাথু থেকে
বিজেপির ব্রাহ্মণ মুখ শর্মা প্রার্থী হচ্ছেন লখনউ-এ, দলিত মুখ মৌর্য লড়বেন সিরাথু থেকে
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে জাতিভিত্তক ভোর বরাবর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার পরই রাজ্যে বিজেপি ছেড়েছেন একাধিক দলিত নেতা। ভোটের মুখে যা অবশ্যই চাপে রাখছে বিজেপিক। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানের জন্য দলের পুরনো দলিত নেতা কেশব প্রসাদ মৌর্যের উপরই বাজি রাখছে বিজেপি৷ সূত্রের খবর রাজ্যের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যকে তাঁর আসন সিরাথু থেকেই প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি৷
তবে শুধু দলিত ভোট নয়, উত্তরপ্রদেশে বরাবর জয়-পরাজয়ের নির্নায়ক ভূমিকা পালন করে আসে ব্রাহ্মণরা৷ দলিত-ক্ষত্রিয় নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঝে ব্রাহ্মণ ভোট অনেকাংশেই জয় পরাজয় নির্ণয় করে উত্তরপ্রদেশে। সূত্রের খবর তাই উত্তরপ্রদেশের আর এক উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণ সমাজে প্রভাবশালী দিনেশ শর্মাকে লখনউ-এ প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
সূত্রের খবর, বিজেপি মৌর্যকে রাজ্যে দলের ওবিসি উপ-জাতির মুখ হিসাবে প্রার্থী করবে এবং পুরো রাজ্যে তাঁকে প্রচারের পুরোভাগে রেখে আক্রমণ ভাবে ব্যবহার করতে চলেছে বিজেপি৷ যদিও দলিত এবং ব্রাহ্মণ বাদেও উত্তরপ্রদেশ জুড়ে যাদব ভোট রয়েছে। যদিও উত্তরপ্রদেশের ট্রেন্ড অনুসারে যাদবরা প্রধানত সমাজবাদী পার্টির দিকে ঝুঁকে থাকে। ওবিসিদের বাকি অর্ধেককে বিজেপি এই নির্বাচনে দলে টানতে চেষ্টা করেছে৷ বিজেপির সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন যে এটি একটি সামাজিক কৌশল, বিরোধীরা যখন বিভিন্ন বর্ণের মানুষের অনুভূতিতে ব্যবহার করে ভোটে জিততে ও বিজেপিতে চিড় ধরাতে চায় তখন মৌর্য-শর্মাকে সামনে রেখেই প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ছে বিজেপি৷
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কেমন মানুষকে পছন্দ? ফোন নম্বর নিয়ে একেবারে জনতার দরবারে কেজরিওয়াল
প্রথমবার ২০১২ সালে সিরাথু বিধানসভা আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচন জিতেছিলেন কেশব। আসনটি তখন পর্যন্ত বহুজন সমাজ পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল! সেই থেকেই একজন শক্তিশালী ওবিসি মুখ মৌর্য বেশ কয়েকটি নির্বাচনী জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। জওহরলাল নেহরুর নির্বাচনী এলাকা হিসাবে পরিচিত ফুলপুর থেকে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মৌর্যকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি, সেবারেও জিতেছিলেন মৌর্য। ২০১৬ সালে, মৌর্যকে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য ইউনিটের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার উত্তরপ্রদেশে ল্যান্ডস্লাইড জয় পায় বিজেপি। এবং মৌর্যকে তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য পুরস্কৃত হয়েছিল। তাঁকে এমএলসি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেয় দল, এবং যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকারে ডেপুটি সিএম হন মৌর্য।