বাংলাদেশে শেখ হাসিনার জয়! উল্লসিত বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বের রাজ্য
বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের জয়ে উল্লসিত ত্রিপুরাবাসী। নির্বাচন হওয়া ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৮৮ টি আসন দখল করেছে আওয়ামি লিগ। প্রাপ্ত ভোটের হার ৯৮ শতাংশ।
বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের জয়ে উল্লসিত ত্রিপুরাবাসী। নির্বাচন হওয়া ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৮৮ টি আসন দখল করেছে আওয়ামি লিগ। প্রাপ্ত ভোটের হার ৯৮ শতাংশ।
ত্রিপুরা
ও
বাংলাদেশের
মধ্যে
বন্ধুত্বের
বন্ধন
শুরু
১৯৭১
সালে।
সেই
সময়
বাংলাদেশের
স্বাধীনতার
যুদ্ধ
চলছিল।
১৯৭১-এর
২৫
মার্চ
সাধারণের
ওপর
পশ্চিম
পাকিস্তানের
সৈন্য
দমনপিড়ন
শুরু
করে।
তৎকালীন
পূর্ব
পাকিস্তানের
বাসিন্দাদের
স্রোত
আছড়ে
পড়েছিল
ত্রিপুরা-সহ
উত্তর-পূর্বের
রাজ্যগুলিতে।
নিরাপত্তা
এবং
সুরক্ষার
জন্যই
গিয়েছিলেন
তৎকালীন
পূর্ব
পাকিস্তানের
বাসিন্দারা।
সরকারি তথ্য থেকে পাওয়া যাচ্ছে, সেই সময় ত্রিপুরা ছিলব কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। লোকসংখ্যা ছিল ১৫.৫৬ লক্ষ। সেই অবস্থাতেও ১৩ লক্ষ উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছিল ত্রিপুরা। ২০১২-র ১২ জানুয়ারি সফরে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে ত্রিপুরার অবদানের কথা স্মরণ করেছিলেন।
অসম রাইফেলস গ্রাউন্ডে হওয়া সভায় তিনি বলেছিলেন, বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। ত্রিপুরার মানুষ সেটাই করেছিলেন। দেশের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল ত্রিপুরা। বলেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তি বাহিনীর ট্রেনিং ক্যাম্প তৈরির জন্য অনুমতি দিয়েছিল ত্রিপুরা। দেশের মানুষদের জন্য খাদ্য ও বাসস্থানের বন্দোবস্তও করেছিল ত্রিপুরা।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অর্থমন্ত্রী তথা ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা বলেছেন, শেখ হাসিনার নির্বাচনে জয় শুধু ত্রিপুরার সঙ্গে বন্ধুপূর্ণ সম্পর্ক বাড়াবে না, পুরো ভারতের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে।
অর্থনীতিবিদ থেকে ত্রিপুরার বিশিষ্টব্যক্তি, সকলেরই আশা, আওয়ামি লিগের ওই জয় দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার আশুগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় ট্রানজিটের অনুমতি দিয়েছে। সাব্রুমে ফেনি ব্রিজের মাধ্যমে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে হতে যাচ্ছে ত্রিপুরা। ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ যাচ্ছে বাংলাদেশে। এটা ভারতের পক্ষে উইন-উইন পরিস্থিতি।
ত্রিপুরা চেম্বার্স অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট মোতিলাল দেবনাথ বলেছেন, আওয়ামি লিগের জয় ত্রিপুরায় ব্যবসার ক্ষেত্রে উপযোগী হবে। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগেরও উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উত্তর-পূর্বে শুধু ত্রিপুরাই নয়, অন্য রাজ্যগুলি থেকে বাংলাদেশে জঙ্গিদের আশ্রয় নেওয়াও প্রায় বন্ধ কর দিয়েছিল হাসিনা সরকার। ভারতের পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শেখ হাসিনাকে সেদেশে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
ওপর ঘটনাগুলি ছাড়াও, আগরতলা-আখাউরা রেল প্রকল্প, ফেনি ব্রিজ প্রকল্প, বিলোনিয়া থেকে ফেনি রেলপ্রকল্প, গোমতি থেকে মেঘনা প্রকল্পও দুদেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছে।