এনআরসি নিয়ে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যের 'লড়াই'! অসমকে টেক্কা দিতে সক্রিয় মহারাষ্ট্র
অসমের থেকে এগিয়ে থাকতে চায় মহারাষ্ট্র। অসমে এনআরসির সঙ্গে সঙ্গেই ডিটেনশন সেন্টার তৈরি কাজ চলেছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে এনআরসি শুরুর আগেই সেখানে ডিটেনশন সেন্ট্রার তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার।
অসমের থেকে এগিয়ে থাকতে চায় মহারাষ্ট্র। অসমে এনআরসির সঙ্গে সঙ্গেই ডিটেনশন সেন্টার তৈরি কাজ চলেছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে এনআরসি শুরুর আগেই সেখানে ডিটেনশন সেন্ট্রার তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতর নবি মুম্বই প্ল্যানিং অথরিটিকে চিঠি দিয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ডিটেনশন সেন্টার তৈরির জন্য জমির বন্দোবস্ত করতে।
অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ৩১ অগাস্ট। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে রাজ্যে ১৯ লক্ষ বাসিন্দার নাম। জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে এরপরেই কি মহারাষ্ট্রের নাম। মহারাষ্ট্র দেশের দ্বিতীয় জনসংখ্যাবহুল রাজ্য।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুম্বইয়ের সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন অফ মহারাষ্ট্র নেরুলে দু থেকে তিন একর জমির জন্য চিঠি পেয়েছে। মুম্বই থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরে নবি মুম্বইয়ের কাছেই অবস্থিত এই নেরুল।
মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে যদিও এই ধরনের চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার করা হয়েছে। এবছরের শুরুর দিকে কেন্দ্রের তরফে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল দেশের সমস্ত বড় ইমিগ্রেশন পয়েন্টগুলিতে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির কথা ।
সামনেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক সহযোগী শিবসেনা অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশী অভিবাসীরা মুম্বইয়ে থাকে এবং সেখানে কাজ করে। জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেছিলেন, সরকার দেশের প্রতি ইঞ্চিতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের খোঁজে তল্লাশি চালাবে।
বিহার ক্যাবিনেটের বিজেপি মন্ত্রী ইতিমধ্যেই রাজ্যে এনআরসির দাবি জানিয়েছেন। মে মাসে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সওয়ান্ত ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি ডিটেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করেছিলেন।
অসমে এখন কারাগারের মধ্যেই রয়েছে ডিটেনশন সেন্টার। তবে বর্তমানে গোয়ালপাড়ায় ৩ হাজার মানুষকে রাখার জন্য ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি হচ্ছে।