আরএসএস আদপে ‘মুখোশধারী’ হিন্দু, ধর্মের দালালি করেই রাজনীতি করে বিজেপি! আক্রমণে রাহুল
আরএসএস আদপে ‘মুখোশধারী’ হিন্দু, ধর্মের দালালি করেই রাজনীতি করে বিজেপি! আক্রমণে রাহুল
কখনও তালিবানদের সঙ্গে তুলনা, তো কখও উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির অভিযোগ, বারেবারেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএসকে। এবার সেই ধর্মীয় বিতর্কের প্রসঙ্গ টেনেই আরএসএস-র তুলোধনা করতে দেখা গেল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। রাহুলের অভিযোগ রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই হিন্দুত্বকে ঢাল করে আরএএসএস। তারা আদপে 'মুখোশধারী’ হিন্দু।
বাড়ছে বিতর্ক
এদিকে কয়েকদিন আগেও দু'দিনের জম্মু সফরে গিয়ে একই অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। সেখানেও রাহুলের স্পষ্ট অভিযোগ ছিল, "বিজেপি ও আরএসএস উভয় সংগঠনই আসলে হিন্দুত্বের নামে হিন্দুদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।" এমনকী গেরুয়া শিবিরকে বিঁধতে গিয়ে এদিন হিন্দুদের দেব-দেবীদের প্রসঙ্গ তোলেন সোনিয়া গান্ধী। এবার সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়েও এই আঙ্গিকেই বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে।
বিজেপি-আরএসএস আদপে ভুয়ো হিন্দু সংগঠন
রাহুলের সাফ বক্তব্য আদপে ধর্মের দালালি করে আরএসএস। ধর্মের দালালি করেই নিজেদের হিন্দু পার্টি বলে দাবি করে বিজেপি। এদিন মহিলা কংগ্রেসের সভায় রাহুল আরও বলেন, "বিজেপির লোকেরা বলে ওঁরা হিন্দুদের পার্টি, কিন্তু বিগত ২০০ বছরে কেউ যদি হিন্দু ধর্মকে বুঝে থাকেন, সেটা হলেন মহত্মা গান্ধী। ওদের আদর্শ আর আমাদের আদর্শ আলাদা। কংগ্রেসের হয়েও আমি বাকিদের আদর্শের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারি কিন্তু আরএসএস-র সঙ্গে কোনোদিনই সমঝোতার রাস্তায় হাঁটতে পারব না।"
তীব্র আক্রমণ রাহুলের
এখানেই না থেমে একটানা চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। ধর্ম ও রাজনীতি প্রসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বিজেপি নিজেদের হিন্দু পার্টি বলে আর দেবী লক্ষ্মীর উপর হামলা করে। মা দুর্গার উপর হামলা করে। অথচ মা দুর্গাই মহিলা শক্তির প্রতীক। বিজেপি আসলে ধর্মের দালালি করে। ওরা সত্যি কারের হিন্দু নয়। কিন্তু তারপরেও নিজেদের হিন্দু পার্টি বলে দাবি করে থাকে।
কী বলছে বিজেপি
এদিকে কয়েকদিন আগে উপত্যকায় গিয়েও রাহুল বলেন, "আরএসএস-এর জন্য জম্মুর সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। জম্মুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংস্কৃতির উপর আঘাত করছে বিজেপি-আরএস। দুর্গা প্রতিবাদের শক্তির প্রতীক। লক্ষ্মী লক্ষ্যপূরণের প্রতীক। সরস্বতী জ্ঞান অর্জনের প্রতীক। কিন্তু কাউকেই সম্মান করতে জানেনা ওরা।" এদিকে মহিলা কংগ্রেসের সভায় রাহুলের এই মন্তব্যের পর ফের জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে এখনও পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের তরফে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।