বিজেপিতে ‘চোরাস্রোত’ ত্রিপুরায়, তারই মাঝে তেইশের রণকৌশল গড়তে আসছেন নাড্ডা
২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ত্রিপুরায় পরিবর্তনের ধ্বজা তুলেছিল তৃণমূল। কিন্তু পরিবর্তনের সেই যাত্রাপথ বিগত চার বছরে মসৃণ ছিল না।
২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ত্রিপুরায় পরিবর্তনের ধ্বজা তুলেছিল তৃণমূল। কিন্তু পরিবর্তনের সেই যাত্রাপথ বিগত চার বছরে মসৃণ ছিল না। শেষ বছরে এসে তেইশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরার সংগঠনকে মজবুত করতে উদ্যোগী হল বিজেপি। বিজেপিতে যে চোরাস্রোত তৈরি হয়েছে, তা থেকে দলকে সঠিক পথ দেখাতে দুদিনের সফরে আগরতলায় আসছেন জেপি নাড্ডা।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভপাতি জেপি নাড্ডা রবিবার আগরতলায় পা দেবেন। রবি ও সোমবার তাঁর বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। তাঁর মূলত ত্রিপুরায় আসা তেইশের ভোটের আগে রণকৌশল তৈরি করতে। শুধু নিজের দলের ভিত মজবুত করাই নয় বা বিধানসভা নির্বাচনের রোড ম্যাপ তৈরি করাই নয়, তিনি জোটসঙ্গী আইপিএফটির সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন, আগামী দিনে হাত হাত ধরে চলার অঙ্গীকার করতে।
এর মধ্যেই ত্রিপুরায় এরপ্রকার পালাবদল ঘটেছে। প্রথম পরিবর্তনের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের অপসারণ ঘটেছে। তার জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ছেন মানিক সাহা। মানিক সাহা ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ফলে রাজ্য সভাপতি পদটি খালি ছিল। এবার সেই পদে আনা হয়েছে রাজীব ভট্টাচার্যকে। তিনি ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তাঁকে শুভেচ্ছা জানান প্রাক্তন সভাপতি মানিক সাহা।
এদিকে জেপি নাড্ডা ত্রিপুরা সফরে আসছেন। তাঁর ত্রিপুরা সফর ও নানা কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয় বিজেপির এক প্রস্তুতি সভায়। ত্রিপুরা বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ২৮ অগাস্ট শনিবার বেলা ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আগরতলা মহারাজা বীরবিক্রম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন তিনি। সকাল ১১টায় স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে মন কি বাত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
মন কি বাত অনুষ্ঠান শেষে তিনি সরাসরি চলে যাবেন ত্রিপুরর রাজ্য অতিশিশালায়। সেখানে তিনি প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। সেখানেই আয়োজিত হবে প্রদেশ কার্যকারিনী বৈঠক। এরপর বিকেলে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন তিনি। রাত আটটায় তিনি জোটসঙ্গী আইপিএফটি-র বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
পরের দিন ২৯ অগাস্ট তিনি মা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে পুজো দেবেন। সকলা আটটায় মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি। সাড়ে ৯টা পূজার্চ্চনা করবেন তিনি। সেখান থেকে তিনি চলে যাবেন জিরানিয়া মহকুমার খুমলুংয়ে। সেখানে দুপুর ১২টায় জনসভা করবেন তিনি। সেখান থেকে আগরতলায় ফিরে আসবেন। তারপর রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশে।
ত্রিপুরায় বিজেপির সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। এই অবস্থায় বিজেপির অন্দরে যে চোরাস্রোত বইছে, তা মিটিয়ে ফের তেইশের ভোটের রূপরেখা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। সেই লক্ষ্য নিয়েই দুদিনের সফরে রোড ম্যাপ প্রস্তুত করে যাবেন তিনি। বিজেপি কোনওরকম ঝুঁকি নিয়ে চাইছে না ত্রিপুরা নির্বাচনের আগে।