পাকিস্তানের গুরুদ্বারে হামলা ও পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় সিএএ-র পক্ষে সওয়াল বিজেপির
পাকিস্তানের নানকানা সাহেবের গুরুদ্বারে হামলা ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা তুলে ধরে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করল বিজেপি।
পাকিস্তানের নানকানা সাহেবের গুরুদ্বারে হামলা ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা তুলে ধরে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করল বিজেপি। বিজেপি নেতারা দাবি করলেন, এই ঘটনাটি ফের দেখাল সংখ্যালঘুরা কীভাবে পাকিস্তানে নিগৃহীত হচ্ছেন এবং কেন ভারতে তাদের নাগরিকত্ব দরকার। নানকানা সাহিবের ঘটনা তুলে ধরে ফের একবার সিএএ সমর্থনে আওয়াজ তুলল বিজেপি।
শুক্রবার লাহোরের নিকটবর্তী নানকানা সাহেব গুরুদ্বারে হামলা চালিয়েছিল একদল জনতা এবং এই বিক্ষোভের ফলে শিখ তীর্থযাত্রীদের দিকে পাথর ছুঁড়েছিল তারা। বিদেশমন্ত্রক এই ঘটনায় জানায়, পাকিস্তানের সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা নানকানা সাহেবে গুরুদ্বারে হিংসার শিকার হয়েছে।
শনিবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বলেছিলেন, পবিত্র নানকান সাহেবের গুরুদ্বারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পাথর ছোঁড়ার ঘটনা নিন্দাজনক। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে যদি আর কোনও প্রমাণের প্রয়োজন হয়, তবে এটাই সবথেকে বড় প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, যারা পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর ধর্মীয় নিপীড়ন এবং সিএএর পিছনে যুক্তি স্বীকার করতে অস্বীকার করেছেন, তাদের নানকানা সাহেব গুরুদ্বারের মতো পবিত্র স্থানে ভাঙচুর, পাথর ছোঁড়া ও অবমাননার কাজগুলি দেখে পক্ষে চোখ খোলা উচিত।
দিল্লির বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরও নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে একই রকম কথা বলেন। তিনি বলেন, একটি মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরের পক্ষে নিরপরাধ পর্যটকদের মৃত্যুর হুমকি এবং পাথর ছোঁড়ার ঘটনা শুধু নিন্দাজনক নয়, অপরাধও! সে কারণেই ভারতের উচিত সিএএ-কে সমর্থন করে। এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জাল ভিডিও টুইট করে নিজেকে বোকা বানাতে ব্যস্ত।