কৃষকদের 'বিরুদ্ধে' এবার পথে বিজেপি! কৃষি আইন নিয়ে নয়া পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের
কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন আরও প্রবল হচ্ছে দিল্লি সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে। এই পরিস্থিতিতে এবার কৃষি আইন নিয়ে সবাইকে সঠিক ভাবে অবগত করতে এবার সরাসরি পথে নামতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা গিয়েছে কৃষক প্রতিবাদের মাঝেই ব্যাপক পরিসরে প্রচার অভিযানে নামতে চলেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে এই লক্ষ্যে দেশ জুড়ে ৭০০ চৌপালে ৭০০টি সাংবাদিক সম্মেলন করতে চলেছে বিজেপি। তাছাড়া সবাইকে গিয়ে ব্যক্তিগত ভাবেও এই আইন নিয়ে বোঝাবে বিজেপি কর্মীরা।
প্রচারের রূপরেখা তৈরি হচ্ছে
জানা গিয়েছে কৃষক আইন নিয়ে মানুষের মনে যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে বিশাল আকারে প্রচার অভিযান শুরু করা হবে বিজেপির তরফে। পার্টির উচ্চস্তরের নেতারা ইতিমধ্যেই এই প্রচারের রূপরেখা তৈরি করছেন। এই প্রচারের মাধ্যমে কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের দূরদৃষ্টি মনোভাব সম্পর্কে সবাইকে অবগত করতে চাইছে বিজেপি।
ইগোর কোনও ইশু নেই
এদিকে চলমান বিক্ষোভ সম্পর্কে নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, 'কৃষি আইন লোকসভা ও রাজ্যসভায় সমস্ত দলের আলোচনা ও সম্মতিতে প্রণয়ন করা হয়েছে৷ এই আইনে কৃষকদের স্বার্থের কোনও ক্ষতি হবে না৷ তবে কৃষকরা ক্রমাগত দাবি করে আসছে এই আইন বাতিল করতে হবে৷ তবে সরকারের তরফে আমরা আইনের যেখানে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত৷ এখানে ইগোর কোনও ইশু নেই৷'
কৃষকদের জমি কৃষকদেরই থাকবে
নতুন আইনে কৃষকদের জমি কৃষকদেরই থাকবে বলে মন্তব্য করেন নরেন্দ্র সিং তোমর৷ তিনি জানান, 'নতুন কৃষি আইনে কৃষকদের জমি নিয়ে কোনও চুক্তি হবে না৷ শুধুমাত্র ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ফসলের মধ্যেই চুক্তি হবে৷ কৃষকদের জমি কৃষকদেরই থাকবে৷ আইনের সবকিছুই কৃষকদের সুবিধার্থে৷ যখন খুশি চুক্তি ভেঙে কৃষকরা তাদের ফসল বাইরে বিক্রি করতে পারবে৷ তবে ব্যবসায়ীরা চুক্তি ভাঙতে পারবে না৷'
কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদনে চিঁড়ে ভিজছে না
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদনে চিঁড়ে ভিজছে না৷ ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাজেশ তিকায়িত বলছেন যতক্ষণ পর্যন্ত না এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ কৃষকদের আন্দোলন চলবে৷ কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে তাঁর মত, মন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে নতুন কিছু নেই৷ এবং কৃষকরা চাইছেন তাঁদের যেন দাবি পূরণ করা হয়৷
অমিত শাহর আগে আগামীকালই রাজ্যে মোহন ভাগবত! হঠাৎ কেন বাংলায় আরএসএস প্রধান?