লক্ষ্যে অবিচল মোদী! বিজেপির পালে হাওয়া তুলতে একাই ‘কাণ্ডারি’ ঝড় তুলবেন ৫০-এ
২০১৯-এর লক্ষ্য স্থির করে ফেলল বিজেপি। বিরোধীরা এখনও অগোছালো অবস্থায় থাকলেও, বিজেপি এখন থেকেই দেশজুড়ে ঝড় তুলতে প্রস্তুত।
২০১৯-এর লক্ষ্য স্থির করে ফেলল বিজেপি। বিরোধীরা এখনও অগোছালো অবস্থায় থাকলেও, বিজেপি এখন থেকেই দেশজুড়ে ঝড় তুলতে প্রস্তুত। কার নেতৃত্বে, কীভাবে ভারতজুড়ে প্রচারের সেই ঝড় তোলা হবে, তাও নির্ধারিত করে ফেলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৫০টি সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। আবারও বিজেপির তুরুপের তাস হচ্ছেন তিনিই।
বিজেপি জানে ২০১৯ তাদের কাছে মস্ত বড় হার্ডল। সেই বাধা পার হতে আগাম প্রস্তুতি দরকার। তাই কালক্ষেপ না করে, এখন থেকেই কোমর বাঁধলেন মোদী-অমিত শাহরা। উত্তরের ঘাটতি মেটাতে যেমন পূর্বে নজর দেওয়া হয়েছে এবার, তেমনই এবারও উত্তরপ্রদেশ থেকে যতটা সম্ভব আসন জেতাই বিজেপির মূল লক্ষ্য।
২০১৪-য় উত্তরপ্রদেশ থেকে সিংহভাগ আসন জিতেছিল বিজেপি। ৮০টির মধ্যে ৭১টিই বিজেপি। এবারও তাঁর কাছাকাছি আসন জয়ই উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মোদীর পাশাপাশি অমিত শাহ ও রাজনাথ সিংহও সভা করবেন। আপাতত স্থির হয়েছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২০০টি জনসভা করবে বিজেপি, তার মধ্যে একা মোদীই ৫০।
স্থির হয়েছে, প্রতি দু-তিনটি কেন্দ্র অনুপাতে একটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় যেমন প্রতি মাসেই আসবেন নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহরা, তেমনই উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটকেও সমান গুরুত্ব দেবেন। মূলত নোট বাতিল থেকে শুরু করে জিএসটি, কর্মসংস্থান প্রভৃতি ইস্যুতে বিরোধীরা যখন সরকারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, তখন মোদী সেই ইস্যুতেই জবাব দেবেন প্রকাশ্য জনসভা থেকে।
বিজেপি মনে করছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যত ব্যবহার করা হবে প্রচারে, ততই লাভ বিজেপির। কেননা একমাত্র মোদীই পারেন বিজেপির পালে হাওয়া লাগাতে। ২০১৪-য় যে হাওয়ায় স্রেফ উড়ে গিয়েছিল বিরোধী কংগ্রেস, এবার ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটকে কুপোকাত করতে সেই মোদীই ভরসা বিজেপির।
আর মোদীকে যে এবার বাংলাতেও বেশি ব্যবহার করা হবে, তা জানিয়ে দিয়েছে নেতৃত্ব। বাংলার বুকে অন্তত ১০-১২টি জনসভা করবেন মোদী-শাহরা। এরই মধ্যে মোদী আগামী ১৬ জুলাই মেদিনীপুরে আসছেন কৃষকবন্ধুদের আহ্বানে। তিনি এই সভা থেকে কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন:'একুশে জুলাই'-ত্রাস কংগ্রেস শিবিরে, পাঁচ বিধায়কের 'পার্থ-শরণ' জল্পনার পারদ চড়াচ্ছে]
বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশাকে টার্গেট করার পাশাপাশি গো-বলয়েও বেশি জোর দিচ্ছে। কারণ গো-বলয় হাতছাড়া বলে সরকার টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে, তা ভালো করেই জানেন মোদী-শাহরা। তাই উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার, গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ- কোনও রাজ্যকেই হালকা করে দেখছেন না তাঁরা।
[আরও পড়ুন:তৃণমূল-সিপিএম ভোট-ঐক্য! বিজেপি-বিরোধী মহাজোটে অবস্থান স্পষ্ট করলেন ইয়েচুরি]